খুলনায় হাসিনাসহ আ’লীগের ৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- খুলনা ব্যুরো
- ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২২:২২
খুলনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার চাচাত ভাইসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী ফুলতলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে খুলনা সদও ও দিঘলিয়া থানা আরো দুইটি মামলা হয়েছে।
ফুলতলা থানার মামলার অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার চাচাত ভাই শেখ হেলালউদ্দিন, সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলাল, খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডি বাবুল রানা ও জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী।
মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো মোড়ের সোনালি ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে ফুলতলা উপজেলা বিএনপির প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী ফুলতলা থেকে সড়কপথে রওনা দেয়। পথিমধ্যে তাদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। পরে তারা বিকল্প নদীপথে ১০টি ট্রলার যোগে ফুলতলার শিকিরহাট থেকে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল কাটাবনে বেলা সাড়ে ১১টার সময় পৌঁছায়।
এ সময় আসামিরা আগে থেকে শটগান, কাটা রাইফেল, বন্দুক, গিডল, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, রড, জিআই পাইপ, চাপাতি, বোমা ও লাঠি নিয়ে আক্রমণ করলে নেতাকর্মীরা আহত হয়। অনেকের হাত-পা ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আহত কর্মীরা কোনোমতে প্রাণ নিয়ে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হলে সেখানে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভয়ে আহতদের অনেকে হাসপাতাল ত্যাগ করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শেখ সাজ্জাদুজামান জিকোকে অন্যস্থানে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় ২৪ নভেম্বর আনুমানিক রাত ১০ টার সময় পায়গ্রাম কসবার কাছারিহাটে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ আনতে গেলে তাকে পুনরায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের সমন্বয়কারী শেখ রাফসান জানীকে জীবননাশের হুমকি ও গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নাসিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। খুলনা থানায় আহত রাফসানজানীর বাবা অ্যাডভোকেট শেখ রফিকুজ্জামান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দিঘলিয়া থানায় সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে প্রধান আসামি করে ৮৪ জনের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় করা মামলার বাদি হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মো: খাইরুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দিঘলিয়ার পুটিমারী বটতলায় হামলার ওই ঘটনা ঘটে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা