২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যশোরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : বিএনপি, ইউএনও অফিস ও পৌরসভায় আগুন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগের প্রথম দিনে যশোরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে শহরের লালদিঘির পাড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপি অফিসে প্রথমে ভাংচুর চালানো হয়। এরপর ভেতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের আসবাব ও কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় মিছিলকারীরা। এর আগে আওয়ামী লীগের শহরের রেলগেট আঞ্চলিক কার্যালয় ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। কারফিউ শুরু হওয়ার পর সাড়ে ৬টার দিকে শহরের দড়াটানায় সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সেখানে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।

এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল করে। এর আগে সকালে শহরের আরএন রোডে যুবদল-ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বেলা ১২টার পর ছাত্র আন্দোলন শহরে মিছিল করে। এ সময় কোতোয়ালি থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। শহর তুলনামূলক ফাঁকা ছিল।

এদিকে, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতঙ্কিত দেখা যায়। অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের বাইরে কিছুই করেননি তারা। বাইরে বের হয়েছেন তুলনামূলক কম।

এদিকে, জেলার কেশবপুর ও মণিরামপুরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কেশবপুরে বেলা ১২টার দিকে মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওইসময় পৌরসভার কাউন্সিলর কবির হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা করে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। পলাশ নামে এক শিক্ষার্থীর পেটে ছুরিকাঘাত করলে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। গুরুতর আহত হয় অটল ও অরিন নামে আরো দু’শিক্ষার্থী। এদের বাইরে আরো ২০ জন আহত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা যোগ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস, পৌরসভা ও কাউন্সিলর কবির হোসেনের বাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। ওইসময় প্রেস ক্লাব, বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।

মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাংচুর চালানো হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিস এবং পৌরসভায়।


আরো সংবাদ



premium cement