চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ১
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ২৪ জুন ২০২৪, ১৪:৫৬, আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১৫:৩৯
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রাক্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রচুর রোগী। এ দিকে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গার বাগানপাড়ার মরহুম আশরাফ আলীর স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৭৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুস শাকিব তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে (১৮ জুন থেকে ২৪ জুন) ডাইরিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সদর হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আসমা নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘ঈদের পর থেকে পেটের পিড়ায় ভুগছেন আমার দাদি। গত পরশুদিন থেকে প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন।’
সজিব নামের আরেক রোগী বলেন, ‘কোরবানি ঈদের পর দিন থেকে বমি ও অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হয়েছে। দু’দিন আগে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া-চটপটি খেয়েছিলাম। খাওয়ার পরই আরো বেশি গ্যাস্টিকের সমস্যা অনুভব করি। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে কম হয়নি। এরপর সকাল থেকে থেকে হঠাৎ শুরু হয় ডায়রিয়া। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’
ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন আরো বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নারীর মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
তিনি আরো বলেন, ঈদের মধ্যে গোশত অনেক বেশি খাওয়া এবং বাহিরে ঘুরতে গিয়ে ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি ফাস্ট ফুড আইটেম বেশি খাওয়ার কারণে এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডায়রিয়া হলে প্রচুর স্যালাইন পানি পানসহ সতর্ক থাকতে হবে।