বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- যশোর অফিস
- ২০ জুন ২০২৪, ২০:৩৬
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)’ ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৪ প্রকাশ করেছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কিংবা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর নাম না থাকলেও আছে যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। দেশের মধ্যে যৌথভাবে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যবিপ্রবি। শুধু তাই না, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কেও র্যাঙ্কিংয়ে পেছনে ফেলেছে যবিপ্রবি।
গত ১২ জুন টিএইচই’র ওয়েবসাইটে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে জানা যায়, ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে জাতিসঙ্ঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে বিশ্বের ১২৫টি দেশের ২ হাজার ১৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান মূল্যায়ন করা হয়েছে।
১৭ টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে গুণগত শিক্ষা ক্যাটাগরিতে ৬২.১-৬৫.৬, ক্ষুধা অবসান ক্যাটাগরিতে ৪৬.৯-৫৪.৩, সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ক্যাটাগরিতে ৫৯.৬-৬৩.৩ এবং লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্বে যবিপ্রবি ৩৬.৯-৫২.৮ নম্বর পেয়েছে। মোট ৫৮.৮-৬৪.৪ স্কোর নিয়ে বৈশ্বিকভাবে ৮০০-১০০০ র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দেশের মধ্যে যৌথভাবে রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। টিএইচই’র ওয়েবসাইটে এই র্যাঙ্কিং দেখলে ৩৫ পৃষ্ঠার ৮৬১ নম্বর পাওয়া যাচ্ছে যবিপ্রবির নাম। শুধু তাই না, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত আছে সেখানে।
এ বছর টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের আটটি সরকারি ও ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এতে প্রথম স্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩০১-৪০০), যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৪০১-৬০০)। যৌথভাবে তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি এবং রুয়েট (৬০১-৮০০)।
যৌথভাবে চতুর্থ অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, যবিপ্রবি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (৮০১-১০০০), যৌথভাবে পঞ্চম বশেমুরকৃবি, বাকৃবি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জাবি, চবি, রাবি ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (১০০১-১৫০০)। যৌথভাবে ষষ্ঠ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, হাবিপ্রবি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
এবারের তালিকায় এক নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরেই আছে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি। তৃতীয় অবস্থানে ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া। চতুর্থ ডেনমার্কের আলবর্গ ইউনিভার্সিটি এবং পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে র্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণে বিবেচিত সূচকগুলো বিশদ ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষাদান সূচকটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান, অর্থাৎ র্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়। দ্বিতীয় সূচক গবেষণায় দেখা হয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মের খ্যাতি-জরিপ, গবেষণা থেকে আয় এবং গবেষণার সংখ্যা ও মান। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সূচক হচ্ছে গবেষণা-উদ্ধৃতি। এ ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত কাজ বিশ্বব্যাপী গবেষকদের দ্বারা কত সংখ্যকবার উদ্ধৃত হয়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী-কর্মী অনুপাতের সঙ্গে দেখা হয় আন্তর্জাতিক যুক্ততাও। ইন্ডাস্ট্রি ইনকামে আবিস্কার, উদ্ভাবন ও পরামর্শের মাধ্যমে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকে সহযোগিতার সক্ষমতা দেখা হয়।
বিশ্বের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে। এগুলোর মধ্যে আছে টাইমস হায়ার এডুকেশন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) অন্যতম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা