ভারতে চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সতর্কাবস্থায় বিজিবি
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ১৮ জুন ২০২৪, ১৬:১৫
যশোরের বেনাপোলসহ শার্শার সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে। বেনাপোল সীমান্তের কয়েকটি এলাকায় বিজিবি ও পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল, ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত।
জানা যায়, গত কয়েক বছরের মতো এবারো পশুর চামড়ার দাম কম। কেনাদামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। সরকারি দামেও সাড়া মেলেনি। সেজন্য বেশি মুনাফার আশায় ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া সাড়ে তিন শ’ থেকে চার শ’ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ছয় শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া চার শ’ থেকে ছয় শ’ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া আট শ’ থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সূত্র জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভবনা থাকে সেসব এলাকাকে বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন- বেনাপোলের গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও শার্শার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল বাগে জান্নাত কওমি মাদরাসার মুয়াজ্জিন রেজাউল করিম বলেন, এলাকার মানুষ কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন মাদরাসায়। কিন্তু চামড়ার দাম খুবই কম। গরুর চামড়া ছোট বড় মিলে গড়ে সাড়ে চার শ’ টাকা দাম পেয়েছি। গত দুই বছর আগে চামড়ার দাম ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের চামড়ার দাম হয়েছে প্রতি পিস ৫০-১০০ টাকা।
যশোর ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহলব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কেউ ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে। সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো চিহ্নিত করে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবত থাকবে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, চামড়া পাচার রোধে বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ একটি টিম ইতোমধ্যে টহল দিতে শুরু করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা