শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় মামলা, কেটে ফেলতে হলো গুলিবিদ্ধ ফিরোজের হাত
- মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
- ১০ জুন ২০২৪, ১৬:৫৮
সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাকের গ্রেফতারের জেরে রোববার দুপুরে শৈলকুপা থানায় হামলার প্রেক্ষিতে গুলিবিদ্ধ ফিরোজ শিকদারের ডান হাতটি কেটে ফেলতে হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) হামলা মামলার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ফিরোজের হাত কেটে ফেলতে হয়। এর আগে শৈলকুপা থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১১৫ জনসহ অজ্ঞাত নামা ৫০০ লোকের নামে পুলিশ শৈলকুপা থানায় একটি মামলা করে।
গুলিবিদ্ধ ফিরোজ শিকদার ধাওড়া গ্রামের কাশেম শিকদারের ছেলে। আহত ফিরোজ শিকদার বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ কোনোভাবেই ফিরোজের হাতটিকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি বলে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশের করা এ মামলায় এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মতিয়ার রহমান বিশ্বাসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ’লীগ নেতা মোস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাকের সামাজিক দলাদলি ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালীসহ কয়েকটি গ্রামে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাকের নামে থানায় মামলা হলে পুলিশ রোববার সাকালে ধাওড়া বাজার থেকে মুস্তাক শিকদার ও লাঙ্গলবাঁধ বাজার এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম নামের আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতাকে পুলিশ আটক করে। তার জের ধরে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা থানায় হামলা করলে পুলিশ সদস্যসহ ৩০-৩৫ জন গুরুতর আহত হয়। ইতোমধ্যে এই মামলায় ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত অফিসার এস আই লাল্টু জানান, আসামি গ্রেফতারের সার্থে নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, থানা ভাঙচুর করায় পুলিশ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনের নামে শৈলকুপা থানায় একটি ভাঙচুর মামলা করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই মামলার ১৫ জন আসামি আটক করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা