গড়াইটুপিতে একই পরিবারের ৩ জনের ইসলাম গ্রহণ
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫৬
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের দাস পাড়ায় একই পরিবারের তিনজন হিন্দু ধর্ম থেকে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার তারা নোটারি পাবলিক চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে হাজির হয়ে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
জানা যায়, দাস পাড়া গ্রামের শ্রী রাজকুমারের ছেলে ষষ্ঠী কুমার তার স্ত্রী রুপালী রানী ও তাদের একমাত্র কন্যা সংগীতা রানী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। সনাতন ধর্ম পরিবর্তন করে ষষ্ঠী কুমার তার নাম রাখেন আল আমিন। তার স্ত্রী রুপালী রানী নাম পরিবর্তন করে সুমাইয়া গ্রহণ করেন। আর তাদের একমাত্র কন্যা সংগীতা রানীর নাম মারিয়াম রাখা হয়।
এর আগে ২০১০ সালেও আল আমিন সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তবে নানা চাপে তাকে পূর্বের ঠিকানাতে ফিরে যেতে হয়। তবে এরপর থেকে তাকে সনাতন ধর্ম-কর্ম পালন করতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে আল আমিন বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকে সনাতন ধর্মের অনুসারী। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে পারি যে ইসলামের চলাফেরা ও সামাজিক ব্যবস্থা অত্যন্ত সুচিন্তিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আমি সিদ্ধান্ত নেই যে ইসলাম ধর্মই সত্য ধর্ম, শান্তির ধর্ম। তাই আমার ভবিষ্যৎ ও আখেরাতের কথা চিন্তা করে আমি একজন ইমামের হাতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। সেখানে কালেমা তাইয়্যেবা পাঠ করে আমি তওবা করি এবং বাপ-দাদার সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যাই। এ ব্যাপারে কেউ আমাদের জোর-জবরদস্তি করেনি বা ধর্মীয় লোভও দেখায়নি। আমরা স্বেচ্ছায় এবং কোনো ধরনের প্ররোচণা ছাড়াই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করি। আমি ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক পরিবারের সকলের পাশে থাকব। সাধ্যমত তাদের খেদমত করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’
এ বিষয়ে খাড়াগোদা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অবশ্যই ভালো। কারণ, জান্নাতে প্রবেশের পথটা তার জন্য অনেক সহজ হয়ে গেছে। তবে যিনি মুসলিম হয়েছেন, তাকেও ইসলামের পথে কাজ করতে হবে। সমাজের সচেতন মুসলিমদেরও নব মুসলিম এ পরিবারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
ইসলাম গ্রহণের পর আল আমিন পরিবার ছেড়ে পাশের জেলা ঝিনাইদহের সাফদারপুরে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা মন্তব্যের ঝড় উঠে চলেছে।