অনতিবিলম্বে এ টি এম আজহারকে মুক্তি দিতে হবে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
- শ্যামনগর (সাতক্ষীরার) সংবাদদাতা
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৬

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিভিন্ন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকেই মুক্তি পেয়ে গেছেন, অথচ আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো মুক্তি পাননি। তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনপদ শ্যামনগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারেনি। এমনকি তিন-চারজন একসাথে বসলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হতো। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নানান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। শেখ হাসিনা, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাদের প্রধান অ্যাজেন্ডা ছিল জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করা। শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাসহ ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে বিনা অপরাধে ফাঁসি ও বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও জামায়াত ও শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে, ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। আজকের এই বিশাল সমাবেশ তারই প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা জামায়াতের এই আন্দোলন নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আজ জনগণের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই, হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে ঘুমন্ত আলেমদের ওপর নির্মম গুলি চালানো ও হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার করতে হবে। ক্ষমতায় আসার পর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ষড়যন্ত্র করে সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত খুনিরা আজও ধরা পড়েনি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার করতে হবে। বাংলার জনগণ আর কোনো নব্য ফ্যাসিবাদ মেনে নেবে না। সরকারকে আহ্বান জানাবো শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে অর্থনীতি সচল করার।
উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় ও উপজেলা আমির মাওলানা আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় মহিলা কর্মী সম্মেলন। যেখানে উপকূলীয় শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নারী কর্মী উপস্থিত হন। তারা জামায়াতের আদর্শ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিজেদের আরো বেশি সম্পৃক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।