যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতাদের ওপর আ’লীগের হামলা
- যশোর অফিস
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১১
যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা অভিযোগ করেছেন, মাইকে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় যুবদলের তিন নেতা ও বিএনপির এক কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহতরা হলেন, হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রাজু (৪৪), ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সম্পাদক শামীম (৩৬), বিএনপিকর্মী জিয়া (৩৫), ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কোষাধ্যক্ষ পাপ্পু (৩০)।
এদিকে, এ ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের শফি নামে একজন নিজেকে আহত দাবি করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে হৈবতপুর গ্রামের মানুষের তোপের মুখে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরেই উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে আহত করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, হৈবতপুর ইউনিয়নের বড় হৈবতপুর গ্রামের মাঠে চাষাবাদের জমি রয়েছে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমানের। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আনিসুর নিজের জমিতে সেচের পানি দিতেন হৈবতপুর ইউনিয়নের চাষিদের জমির আইল কেটে। তখন এর প্রতিবাদ করার কারও সাহস ছিল না। এবারো অন্যের পানি নিজের জমিতে দেয়ার জন্য আইল কেটে দেন আনিসসহ তার লোকজন। গ্রামবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে আনিস নিজ এলাকার দু’টি মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। এরপর ৫০ থেকে ৬০ জন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হৈবতপুর গ্রামে চলে আসে। বড় হৈবতপুরের লোকজনও চলে আসে সেখানে। এক পর্যায় দু’গ্রামের মানুষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন যুবদল নেতা রাজু। সমঝোতার পর হৈবতপুরের লোকজন ফিরে যাচ্ছিল। এমন সময় আনিসের নেতৃত্বে শফিক, তৌহিদ, রমজানসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হৈবতপুরের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় গুরুতর আহত হন ওই চার নেতা। খবর পেয়ে হৈবতপুরের আরো লোকজন ছুটে এলে আনিস মেম্বারের লোকজন পালিয়ে যায়।
হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাজেদুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ আমলে এই আনিস মেম্বার যা ইচ্ছে তাই করেছেন। গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। তার নেতৃত্বে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদককারবার, হৈবতপুরের মাঠ থেকে সাধারণ মানুষের ফসল তুলে নিয়ে যাওয়া, অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবিসহ তিনি নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। তার অত্যাচারে হৈবতপুরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গেছে। সরকার পতনের পর থেকে আনিস চক্র আত্মগোপন করে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা