বাগেরহাটে আ'লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা, সাবেক এসপি গ্রেফতার
- বাগেরহাট প্রতিনিধি
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৪
বাগেরহাটে ফকিরহাটে ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ ও স্থাপনা ভাঙচুর করার অভিযোগে বাগেরহাটের সাবেক তিন এমপিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি ফকিরহাট থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সায়হান নাসের তন্ময়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খান, আওয়ামী লীগের বাগেরহাট জেলা সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, বাগেরহাট-২ আসনের আরেক সাবেক এমপি মীর শওকত আলী বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন লিটন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্ত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুর করে। ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকগুলি ছোড়ে।
এছাড়া, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একটি ব্যালট-একটি বুলেটসহ নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে উদ্বদ্ধ করেছেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা