০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`

চৌগাছায় পেঁয়াজ চাষে লোকসান, উঠছে না উৎপাদন খরচ

চৌগাছায় পেঁয়াজ চাষে লোকসান, উঠছে না উৎপাদন খরচ - ছবি - নয়া দিগন্ত

যশোরের চৌগাছায় পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বেশ কয়েক মাস ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি থাকায় কৃষকেরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তবে নতুন পেঁয়াজ উঠার পর বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। ফলে কৃষকদের বিঘা প্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় তিন শ’ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে এবং পাইকারি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ কেনাবেচা চলছে। অথচ কিছুদিন আগেও এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৫০ টাকা।

এ বিষয়ে চৌগাছা বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের প্রত্যেক অঞ্চলেই পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় মোকামেও পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। ফলে হঠাৎ করেই দাম কমে গেছে।

সদর ইউনিয়নের বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আবদার আলী ও আব্দুস সামাদ জানান, চলতি বছরে দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে।

লোকসানের হিসাব দিতে গিয়ে তারা জানান, মজুরি, সার ও কীটনাশক, বীজ কেনা দিয়ে বিঘা প্রতি মোট ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাদের।

চৌগাছা বড় বাজারের আড়তদার আজিজুর রহমান জানান, সরকারের উচিৎ স্থানীয়ভাবে কোল্ডস্টোরেজ স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। এতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন না। অন্যথায় তারা পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসাব্বির হুসাইন জানান, পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে ভালো লাভ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement