বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে : তারেক রহমান
- খুলনা ব্যুরো
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৯
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, ৩১ দফা তারই প্রমাণ। ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক সকল দলের। সংস্কারের যেসব কথা বলা হচ্ছে, তার সবকিছুই এর মধ্যে রয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপির ৩১ দফা বিষয়ে দলের বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ সকল মানুষের জন্য। কিছুদিন ধরে সমাজের কিছু ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন। পাঁচ মাস আগেও তারা এ কথা বলেননি, কিন্তু বিএনপি দু’বছর আগে থেকে বলছে।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রশিক্ষক ছিলেন দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব মো: শফিকুল আলম তুহিন।
তারেক রহমান কর্মশালায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। মানুষের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তাই কেউ যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে একজন নেতা হিসেবে তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব।
তিনি সকল নেতার ভুল শুধরে নিয়ে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড ও ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করবো। ফার্মার্স কার্ড প্রতি মৌসুমে কৃষকের সার-বীজ বা আর্থিক সহযোগিতা পেতে কাজে লাগবে।
তিনি আরো বলেন, নারীর যোগ্যতা ও মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা উচিত। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা ফ্রি করে দিয়েছিলেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করবো। প্রান্তিক মানুষকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘মিনিমাম’ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। যা সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পাবে। ফ্যামিলি কার্ডটি পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে দেয়া হলে, সেখান থেকে যে অর্থ সাশ্রয় করবে তা সন্তানের স্বাস্থ্য ও লেখাপড়ায় ব্যয় করবে। সঞ্চিত অর্থ পাঁচ থেকে ১০ বছর পর তার অর্থনৈতিক শক্তি সৃষ্টি করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা