চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেফতার
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৪৯
চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর তুষার আহমেদ সবুজ হত্যা মামলার দুই আসামিকে মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ (র্যাব) ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ, পিপিএম সাংবাদিকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো: সাহাদ আলীর ছেলে মো: সাগর আহমেদ (২০) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ইউসুফ হোসেনের ছেলে মো: জহুরুল ইসলাম (৪৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ জানান, গত ১৩ নভেম্বর র্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানি কমান্ড ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের যৌখ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকা থেকে মো: সাগর আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তিতে এই ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামি জহুরুল ইসলামকে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের সরকারি খাদ্য গুদাম গেইটের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের গজারিয়া মাঠে বিপুলের মেহগনি বাগানের মধ্যে মোটরসাইকেলসহ তুষার আহমেদ সবুজ (২৩) নামের এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত সবুজ আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের ফকিরপাড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সবুজ মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকেই রহস্য উদঘাটনে র্যাব-১২ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনিদের সনাক্ত করা হয়। সেমতে ১৩ নভেম্বর রাতে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই ঘাতককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি সাগরকে আদালতে নিলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেফতার দুই আসামি ও নিহত সবুজ দীর্ঘদিন থেকে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। সাগর ও জহুরুল টাকার জন্য সবুজকে বাইক বেচাকেনা এবং সিদ্ধি খাওয়ার কথা বলে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। পরে পরিকল্পিতভাবে সবুজকে হত্যা করে তার কাছে থাকা টাকা হাতিয়ে নেন। পরে আলামত ধ্বংসের জন্য মোটরসাইকেলসহ জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা রুজু হয়, যার মামলা নং-১২, তারিখ ১৪/১১/২৪ ধারা-৩২০/২০১/৪৩৫/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা