সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়ার যুক্তি নেই : মঈন খান
- খুলনা ব্যুরো
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২২:২২
সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো যুক্তি হতে পারে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে, সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রতিনিধি ঠিক করবে। আমাদের সংস্কার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার এমন কোনো জিনিস নয় যে আজকে সংস্কার করে তা তালাবদ্ধ করে রাখবো।’
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেমন সংস্কার করা প্রয়োজন তা চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করাই ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানের হায়েনারা এদেশের মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল তখন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান প্রথমে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিলেন। ১৯৭১ সালের তারা যেমন কাপুরুষের মত দেশের জনগণকে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছেন ঠিক ৫ আগস্টেও ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে আবারো সেই একইভাবে পালিয়েছেন। বাংলাদেশকে কারা রক্ষা করেছে সেই সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ রক্ষীবাহিনী তৈরী করে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর আবারো জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় এনে সেই বাকশালের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়েছেন নির্বাসিত গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি ছাত্রদের লেখাপড়া করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পরে দেশে গণতন্ত্র ছিলো না। যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ যুদ্ধ করেছিলেন সেই গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিলেন। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভেঙে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এদেশের সিপাহী-জনতা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষদের পরিচয় দিয়েছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের।
৭ নভেম্বর ও ৫ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা মানে ছাত্র-জনতার ব্যর্থতা। তাই বর্তমান সরকারকে সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করার আহ্বান জানান।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। এছাড়া বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রকাশিত বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘প্রথম বাংলাদেশ’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে জাসাসের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা