মানুষের আশা-প্রত্যাশা তিন মাসে খুব একটা পূরণ হয়নি : দুদু
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৪৩
গত তিন মাসে মানুষের যে আশা-প্রত্যাশা ছিল তা খুব একটা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ৮ আগস্ট ড. ইউনূস তার কিছু সঙ্গীকে নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। সেই সরকারই আজকে (৮ নভেম্বর) তিন মাস অতিক্রম করল। মানুষের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আশা ছিল। তার ভেতর সবচেয়ে বড় জিনিসটি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ দু’মুঠো খেয়েপরে বেঁচে থাকবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সময় যে সিন্ডিকেট হয়েছিল সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। কিন্তু তা খুব একটা পূরণ হয়নি।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরে নিজ বাসভবনে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, `বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল যে তারা ভোটাধিকার ফিরে পাবে। তারা নিজেদের অধিকারের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। কিন্তু সেই নির্বাচন এখনো পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি বা বিএনপি দাবি করেছিল রোডমার্চ এবং যৌক্তিক একটি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটিও সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত সরকার উদ্যোগী হয়েছে ও নির্বাচন দেবে বলেছে কিন্তু সুনির্দিষ্ট তারিখ-মাস ঘোষণা করেনি। সেটি ঘোষণা করলে আগামী দিনে দেশের মানুষ আরো উৎফুল্ল হবে, আরো সফল হবে। যতক্ষণ ঘোষণা না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ একটু উদগ্রীব বা হতাশই থাকল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপির কোনো নির্বাচনে প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তারা ১৬ থেকে ১৮ বছর ধরেই প্রস্তুত। যেকোনো মুহূর্তেই নির্বাচন দিলে যেকোনো সিটে একাধিক প্রার্থী তাদের। সে কারণে বিএনপির প্রস্তুতি খুব কম সময়ের ভেতরেই সম্ভব।’
তিনি আরো বলেন, ‘দল যখন যেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় আমি তার প্রতি যেকোনো ব্যাপারে অর্থাৎ আন্দোলন, সংস্কার ও নির্বাচনের ব্যাপারে সেটিকে আমি গ্রহণ করি এবং সেই মোতাবেক চলি। আগামী দিনেও চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ এ অঞ্চল সব হচ্ছে বিএনপি অধ্যুষিত অঞ্চল। এখানে যদি মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে বিএনপি জয় লাভ করবে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আগামীতেও তাই হবে।’
আগামী নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অংশগ্রহণ করবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গার মানুষ, চুয়াডাঙ্গায় একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলাম। বিএনপির জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত জীবিত সাবেক সংসদ সদস্য একমাত্র আমিই বেঁচে আছি। আমি শুধু চুয়াডাঙ্গার মানুষ হিসেবে এখানে সংসদ সদস্য ছিলাম কিন্তু আমার ক্ষেত্রটা জাতীয় ভিত্তিক। আমি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও একসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। কেন্দ্রীয় কৃষক দলের দীর্ঘকালীন সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক ছিলাম। সারা বাংলাদেশেই আমার ক্ষেত্র। কিন্তু নির্দিষ্ট এলাকার মানুষ হিসেবে এখানে ভালো-মন্দের সাথে সবসময় সম্পৃক্ত ছিলাম, এখনো আছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা