২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যশোরে জামায়াত নেতা সজল হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫

যশোরে জামায়াত নেতা সজল হত্যায় গ্রেফতার হওয়া আসামি - ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা হত্যা এবং বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শহরতলির খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

যশোর ডিবির ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। তদন্ত চলাকালে খোলাডাঙ্গার গাজীর বাজার থেকে দু’আসামি সাদমান রহমান সাকিন (১৯) ও আল আমিন হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, পুলিশ গ্রেফতার হওয়া আসামিদের আগে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজও জব্দ করে। ভিডিওটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি লাবিব, সাকিনসহ চার থেকে পাঁচজন মাদক সেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ওই ভিডিওর সূত্র ধরে সাকিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে ভিডিওতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিশোর গ্যাংয়ের আরো তিন সদস্য রায়হান আহমেদ (২১), আব্দুর রহমান সাগর (২১) ও রিয়াদ হাসানকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বাড়ি খোলাডাঙ্গা ও খড়কি এলাকায় বলে জানান তিনি।

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, রায়হানের বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার সময় দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া আসামিদের নিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লাবিবের বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।

ডিবি আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের মধ্যে আল আমিন ও সাকিন জামায়াত নেতা সজল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ১৩ থেকে ১৪ জনের নাম প্রকাশ করেন। তারা জানায়, ঘটনার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে এলাকার ফখরুল ইসলাম নামে একব্যক্তির স্বজনকে আসামি স্মরণ ও রবিন পথরোধ করে ব্যাগ তল্লাশির ঘটনায় ফখরুল ইসলাম জামায়াত নেতা সজলকে নিয়ে প্রতিবাদ করেন। ওই সময় আসামি স্মরণ, লাবিব ও রবিনকে চড়থাপ্পড় দেন সজল। এর জের ধরে স্বরণ, লাবিব ও রবিন সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর ১০ থেকে ১২ জনের সহযোগিতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মসজিদে যাওয়ার পথে সজলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জখম করে। ওই সময় রক্তাক্ত সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement