০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সাতক্ষীরায় গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৬

সাতক্ষীরায় সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৬ ডাকাত - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো ছয়জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোররাত ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালির মাছের ঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গণপিটুনিতে নিহত কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মরহুম আবু বকর গাজীর ছেলে বলে জানা গেছে।

অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীকলস গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল, বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মাদ জানান, খলিশাখালিতে এক হাজার তিন শ’ ২৮ বিঘা মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিশাখালিতে অস্ত্র নিয়ে মাছের ঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে ডাকাত দল। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিশাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি হাত বোমা, ৩০টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম গাজীসহ তাদের বাহিনী। তথ্য অনুযায়ী দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে একসাথে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল ছুড়তে থাকে তারা। এ সময় দূর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলিও চালায়।

একপর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক সাধারণ জনতা কামরুলসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। এ সময় জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে গণপিটুনি দেয়। পরে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কামরুল একজন দণ্ডিত অপরাধী ও ডাকাত ছিলেন।

আটক হওয়া অন্য ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় পাঁচটি রামদা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ, চারটি মোবাইল ফোন, ১৫টি হাত বোমা, সাত প্যাকেট হাত বোমায় ব্যবহৃত স্প্রিন্টার ও ৩৮টি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে মাছের ঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগকর্মী গ্রেফতার সাইবার হামলা রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি আগামীর রাজনীতি হবে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণের : মুক্তাদির নিউজিল্যান্ডকে ২৩৫ রানে গুটিয়ে দিয়েও অস্বস্তিতে ভারত বাঁশখালীতে দেয়ালচাপায় এক শিশুর মৃত্যু সীতাকুণ্ডে বিএনপি-জাতীয় পার্টির হামলায় জামায়াতের ১৪ নেতা-কর্মী আহত ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু বেলাবতে আওয়ামী সন্ত্রাসীর হামলায় আহত ২ নারায়ণগঞ্জে খেলা শুরুর আগেই খেলোয়াড়রা পালিয়ে গেছে : ভিপি নুর মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা সম্ভব নয় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : ফারুক

সকল