১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে বাড়ছে জ্বর ও নিউমোনিয়া

-

আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে নিউমোনিয়া ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগী শিশু রয়েছে।

এতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য হারে ভর্তি হচ্ছে রোগী। সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতালের বহিঃবিভাগেও চাপ রয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, প্রতিদিন জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি আক্রান্ত হয়ে ৮০০ থেকে ১০০০ শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠিক এ সময়ে আবহাওয়াও পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অতিরিক্ত যত্ন ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমান পা ফেলার জায়গা নেই। এমনকি পুরনো ভবনের কলপসিবল গেট পর্যন্ত শিশু রোগীরা পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। একদিকে শিশু রোগীদের যেমন চাপ, তেমনই লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা।

সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, গত নয় দিনে অর্থাৎ ৭ অক্টোবর থেকে আজ ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডের মোট ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪০০ শিশুরও বেশি রোগী। এর মধ্যে ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত।

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রেহেনা পারভিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এবার অতিরিক্ত হারে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পা ফেলার জায়গা নেই। একদিকে লোকবল সঙ্কট অন্যদিকে রোগীদের চাপ সামলাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদরের চিকিৎসা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত চার দিন আগে হঠাৎ করেই আমার ছেলে প্রচণ্ড জ্বর ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও কম না হলে দু’দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।’

চিকিৎসা নিতে আসা অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার নাতী জ্বর-ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়। অবস্থা বেগতিক হলে গতকাল সোমবার সকালে ভর্তি করি। ওয়ার্ডে কোনো জায়গা নেই। নাতীকে নিয়ে মেঝেই চিকিৎসা নিচ্ছি।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি বেড়েছে বয়োবৃদ্ধের। তবে এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত। এ সময় বাচ্চাদের সতর্ক রাখতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement