০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ২ ছাত্রলীগ নেতা

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ২ ছাত্রলীগ নেতা - ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিজ বিভাগে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন দুই ছাত্রলীগ নেতা।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে এর সূত্রপাত হয়।

পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং শিক্ষকরা তাদেরকে উদ্ধার করে ইবি থানায় হস্তান্তর করেন।

তারা হলেন শাখা ছাত্রলীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যাবস্থপনা-বিষয়ক সম্পাদক শাহীন পাশা এবং নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক আল আমীন সুইট। তারা উভয়ই আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষর্দী সূত্রে জানা যায়, বুধবার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের স্থগিত হওয়া সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন ছাত্রলীগ নেতা সুইট ও শাহীন পাশা। এ খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ভবনের সামনে এসে শ্লোগান দিতে থাকেন কিছু শিক্ষার্থী। পরে ঝামেলা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্রউপদেষ্টা ও পরিবহন প্রশাসকসহ বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যস্থতায় তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রভাব খটানোর অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ শাহীন পাশা বলেন, আজ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমরা পরীক্ষায় বসেছিলাম। পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু অন্য শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। আমরা ভাবছিলাম চুপিসারে এসে পরীক্ষা দিয়ে যাব। তবে জানানো উচিত ছিল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আমাদেরকে নিরাপদে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমরা জানতে পারার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর যাতে মব জাস্টিস না হয় সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মিলে আমরা তাদেরকে নিরাপদে থানায় সোপর্দ করেছি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আমাদের কাছে নিরাপদে সোপর্দ করেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ আছে কি-না সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।


আরো সংবাদ



premium cement