০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় শাড়ীসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় শাড়ীসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক - ছবি : নয়া দিগন্ত

বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে কাগজপত্র ছাড়া ভারতীয় শাড়ীসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ চালান আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানায়, আটক চালানটির মোট ওজন ১৭ হাজার কেজি এবং শুল্ককরসহ মোট মূল্য এক কোটি ৭০ লাখ টাকা।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় উন্নত মানের ৭০ পিস ভারতীয় শাড়িসহ অবৈধভাবে আনা ফেব্রিক্সের একটি চালান বেনাপোল বন্দরের ১৭ নাম্বার শেড থেকে কাভার্ডভ্যানে উঠানো হচ্ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। এ সময় ট্রাকটি রেখে শেডের দায়িত্বে থাকা আব্দুল মতিন ও পাচারকারীরা পালিয়ে যান। পরে দায়িত্বরত আব্দুল মতিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পণ্যের বৈধ কোনো কগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ ছাড়াও বন্দর শেডে পণ্য চালানটি কে রেখেছে এবং কারা লোড করছিল ওই বিষয়ে মুখ খুলেননি মতিন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী ও শেডে দায়িত্বরত আব্দুল মতিন মিলে আব্দুল্লাহ নামের একজনকে দিয়ে কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে শেড থেকে পণ্য চালানটি পাচার করছিলেন। এ চক্রটি একাধিকবার এমন অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার গুঞ্জনও রয়েছে।

এদিকে, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং অ্যাসোসিয়েশনের বইয়ে এবং ওই সিঅ্যান্ডএফের অফিসে অনেক খোঁজাখুঁজির করে কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায়, ওই নামে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডারম্যানকে তারা চেনেন না। কৌশল অবলম্বনের জন্য ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা হতে পারে।

স্থানীয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বন্দরের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী ও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও অনিয়ম রোধে তা কাজে আসছে না।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির এ বিষয়ে জানান, বিষয়টি কাস্টমস তদন্ত করছে। তবে বন্দরের কারো দায়িত্ব পালনে অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানি করা কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো আটক করতেই হবে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হয় না। তবে এ ধরনের অবৈধ কাজের সাথে কারা জড়িত, তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এখনো জানতে পারিনি এর সাথে কারা জড়িত আছে। এ ধরনের কাজের সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement