পাইকগাছায় কপোতাক্ষ তীরের দেড় শতাধিক মানুষ পানিবন্দী
- শেখ দীন মাহমুদ, পাইকগাছা (খুলনা)
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৩, আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:১৫
পাইকগাছার কপোতাক্ষ তীরের চরে গড়ে ওঠা বিচ্ছিন্ন পাড় রামনাথপুর গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ গবাদি পশু নিয়ে ১০ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লবণ পানি ঢুকাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষিজমি।
জানা গেছে, শ্রমজীবী পরিবারগুলোতে কাজ না থাকায় খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখনো তাদের কাছে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় রামনাথপুর গ্রামটি দীর্ঘদিন ধরে কপোতাক্ষের ভাঙনের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা নেয়া হলেও ভাঙনরোধে স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। এমনকি খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের ওই অংশটুকুও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ভাঙনের মুখে বিলুপ্ত হয়ে কপোতাক্ষের অপর প্রান্তের চরে জেগে ওঠে রামনাথপুর গ্রাম। ভাঙনকবলিত এলাকার ভূমিহারা মানুষরা পরে চরের জমির বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে চাষাবাদের পাশাপাশি গড়ে তোলে বসতি। সেই থেকে ওই চরের নাম হয় পাড় রামনাথপুর।
ভাঙনকবলিত রামনাথপুর, দরগামহল ও চরের পাড় রামনাথপুর রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদের গতিপথ পরিবর্তনে দক্ষিণ পাশ দিয়ে কপোতাক্ষ নদ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে খননের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম জানান, বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরো জানা গেছে, পাড় রামনাথপুরের বাসিন্দা, সিরাজুল ইসলাম, তপন বিশ্বাস, সঞ্জয় দাশ, মজিদ মোড়ল, সুকুমার, শেখর, মঙ্গল গাইন, রোকেয়া বেগম, চপলা বিশ্বাসসহ ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, অপর পাড়ের দরগাহ মহল গ্রামের সোহাগ ও কামরুল ভরাট হওয়া জমি তাদের দাবি করে সেখানের বাঁধ কেটে নদীর পানি ঢুকিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এতে ৫০ থেকে ৬০ একর জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা