২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাসূল সা:-এর কথা

-

ঈমান, ইসলাম ও ইহসান কী?
উমর রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে বসেছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমাদের সামনে উপস্থিত হন, যার কাপড় ছিল ধবধবে সাদা, চুল ছিল ভীষণ কালো; তার মাঝে ভ্রমণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। আমাদের মধ্যে কেউ তাকে চিনতে পারেননি। তিনি নবী সা:-এর কাছে গিয়ে বসেন, নিজের হাঁটু তার হাঁটুর সাথে মিলিয়ে নিজের হাত তার উরুতে রেখে বললেনÑ ‘হে মুহাম্মাদ, আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন।’
রাসূলুল্লাহ সা: বললেন : ‘ইসলাম হচ্ছে এইÑ তুমি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সা: আল্লাহর রাসূল, সালাত প্রতিষ্ঠা করো, জাকাত আদায় করো, রমজানে সাওম (রোজা) সাধনা করো এবং যদি সামর্থ্য থাকে তবে (আল্লাহর) ঘরের হজ করো।’
তিনি (লোকটি) বললেন : ‘আপনি ঠিক বলেছেন।’
আমরা বিস্মিত হলাম, লোকটি নিজে রাসূল সা:-এর কাছে প্রশ্ন করছেন আবার নিজেই তার জবাবকে ঠিক বলে ঘোষণা করছেন।
এরপর বললেন : ‘আচ্ছা, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন।’
তিনি (রাসূল) বললেন : ‘তা হচ্ছে এইÑ আল্লাহ্, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ ও আখেরাতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাকদিরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস রাখা।’
তিনি (আগন্তুক) বললেন : ‘আপনি ঠিক বলেছেন।’
তারপর বললেন : ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’
রাসূল সা: বললেন : ‘তা হচ্ছে এইÑ তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত করো যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ, আর তুমি যদি তাঁকে দেখতে নাও পাও তবে তিনি তোমাকে দেখছেন।’
তিনি (আগন্তুক) বললেন : ‘আমাকে কেয়ামত সম্পর্কে বলুন।’
তিনি (রাসূল) বললেন : ‘যাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে সে জিজ্ঞাসাকারী অপেক্ষা বেশি কিছু জানেন না।’
তিনি (আগন্তুক) বললেন : ‘আচ্ছা, তার লক্ষণ সম্পর্কে বলুন।’
তিনি (রাসূল) বললেন : ‘তা হচ্ছে এইÑ দাসী নিজের মালিককে জন্ম দেবে, সম্পদ ও বস্ত্রহীন রাখালগণ উঁচু উঁচু প্রাসাদে দম্ভ করবে।’
তারপর ওই ব্যক্তি চলে যান, আর আমি আরো কিছুক্ষণ বসে থাকি।
তখন তিনি (রাসূল) আমাকে বললেন : ‘হে উমর, প্রশ্নকারী কে ছিলেন, তুমি কি জানো?
আমি বললাম : ‘আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সা: অধিক ভালো জানেন।’
তিনি বললেন : ‘তিনি হলেন জিবরিল। তোমাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিতে তোমাদের কাছে এসেছিলেন’
[সহিহ্ মুসলিম : ৮]।


আরো সংবাদ



premium cement