জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ছে
- অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন আব্দুল্লাহ জাফরী
- ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০
‘জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কর্মফল হিসেবে’। আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশের বহু নদী দেশের মানচিত্র থেকে মুছে গেছে। যে নদীগুলো সংগ্রামপূর্বক অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে, সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রবহমান থাকলে এর তলদেশে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা দ্বারা যে পলল পুঞ্জীভূত হয়, নদীর ওপরি ভাগে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে তার অস্তিত্ব অনুভূত হয় না। কিন্তু নদীগুলোতে যখন প্লাবন আসে, তখন প্রবাহিত স্রোতধারা তলদেশের আবর্জনা দৃশ্যমান (Visible) করে তোলে। আর যদি নির্দিষ্ট মেয়াদকাল পরপর নদী থেকে পঙ্কোদ্ধার (Dredging) করা হয়, তাহলে নদীতে আবর্জনা পুঞ্জীভূত হওয়ার অবকাশ পায় না। যথাযথ থাকে নদীর গভীরতা, নাব্যতা এবং প্লাবন এলে এর তলদেশ থেকে আবর্জনাও ওপরি ভাগে দৃশ্যমান হয় না।
সমাজ ও দেশকে অনৈতিকতার ময়লা-আবর্জনার স্তূপের আড়াল করার লক্ষ্যে যেসব অশুভ শক্তি তৎপর, তারা প্রথমে দেশের সাধারণ জনগণের স্বভাব-চরিত্র ও নৈতিকতার সুরক্ষা প্রাচীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রপথ তৈরি করে। ওইসব ছিদ্রপথে এমন ধীর গতিতে নৈতিকতা বিধ্বংসী আবর্জনা প্রবেশ করানো হয় যে, দেশের চিন্তাশীল দূরদর্শী ব্যক্তিরা ছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ এর সুদূরপ্রসারী ভয়াবহ ফলাফল সম্পর্কে অনুমানও করতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ধীর গতিতে যখন সমাজদেহে আবর্জনার স্রোত প্রবেশ করে, তখন দেশের কল্যাণকামী দূরদর্শী (Far-sighted) ব্যক্তিরা এর সুদূরপ্রসারী বিষময় ফল সম্পর্কে সাবধানবাণী উচ্চারণ করলেও কোনোরূপ গুরুত্বারোপ করা হয় না।
সংস্কারকামী চিন্তাশীল ব্যক্তিদের কথায় কর্ণপাতপূর্বক আবর্জনা প্রবেশের ছিদ্রপথ যদি তৎক্ষণাৎ সিলগালা করা হয়, তা হলে দেশে বা সমাজদেহে চরিত্র বিধ্বংসী আবর্জনা পুঞ্জীভূত হওয়ার সুযোগ পায় না। আর এ কাজটি যদি করা না হয়, তাহলে এর বিষময় ফলাফল সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যদি তোমরা তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা ও বড় ধরনের ফ্যাসাদ হবে।’ (সূরা আল আনফাল-৭৩)
বর্তমানে যেসব সচেতন ব্যক্তি ৭০-৮০ বছর বয়সে পা রেখেছেন। দূর অতীতে যে বয়সে তাদের বুদ্ধি বিকশিত হয়েছে তখন তারা সমাজ ও দেশের সার্বিক যে চিত্র দেখেছেন, সেই চিত্রের সাথে সমকালীন দৃশ্যমান চিত্রের কোনোরূপ সামঞ্জস্য সন্ধান করে পাচ্ছেন না। মাত্র কয়েক দশক আগেও অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ ‘মিথ্যা কথন’ সম্পর্কে সচেতন ছিল যে, মিথ্যা বলা অন্যায় এবং আত্মমর্যাদাহানিকর। এ চেতনা অক্ষর জ্ঞানহীন বেশির ভাগ মানুষকে মিথ্যা উচ্চারণ থেকে বিরত রাখত। এ মানুষগুলো যখন সমাজ ও জাতীয় নেতাদের অবলীলাক্রমে মিথ্যা উচ্চারণে অভ্যস্ত দেখল, তখন তারা বিস্ময়ে বিমূঢ় হলো বটে, কিন্তু শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম নেতাদের অনুকরণে মিথ্যাচর্চায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ল।
৬১০ খ্রিষ্টাব্দের দিনগুলোকে বর্তমানে উচ্চশিক্ষিত বলে দাবিদার যেসব ব্যক্তি Days of ignorance অজ্ঞতার যুগ’ বলে উল্লেখ করেন, তারা তদানীন্তন আরব নেতা আবু সুফিয়ানের ‘আত্মমর্যাদাবোধ’ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আবু সুফিয়ান ইবনু হারব ব্যবসায়ী দলনেতা হিসেবে রোম সফরকালে রোম সম্রাট হিরাকল নবী করিম সা: সম্পর্কে জানার জন্য তাকে ডেকে পাঠান। আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মহান আল্লাহর শপথ! সাথীদের কর্তৃক মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হওয়ার লজ্জা আমাকে বাধা প্রদান না করলে আমি রোম সম্রাটের কাছে সে দিন মুহাম্মদ সা:-এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মিথ্যা বলতাম।’ (বুখারি হা-৭)
আরবের ইতিহাস অধ্যয়নকারী লোকদের জানা আছে, তারা বহুবিধ অনাচারে অভ্যস্ত ছিল বটে, কিন্তু তারা মিথ্যাবাদী নেতাদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখত। ফলে তদানীন্তন নেতাদের মধ্যে প্রবল আত্মমর্যাদাবোধ (Sense of self respect) ছিল, তাদের সঙ্গী-সাথী ও সাধারণ জনগণ যেন তাদের মিথ্যাবাদী মনে না করে। এই চেতনা সমূলে উৎখাত অথবা ভোঁতা করার লক্ষ্যে অশুভ শক্তি দেশের জনগণের স্বভাব-চরিত্র ও নৈতিকতার সুরক্ষা প্রাচীরে ছিদ্রপথ তৈরি করে ক্রমেই আবর্জনা প্রবেশ করাল। ফলে ধীরে ধীরে আত্মমর্যাদাবোধ মিথ্যাচার নামক আবর্জনার স্তূপের আড়ালে চলে গেল।
আরবি ভাষার প্রবাদ অনুযায়ী ‘পরিবারের কর্তা যখন তবলা বাজায়, পরিবারের সদস্যরা তখন নাচ শুরু করে।’ দেশ ও সমাজের পরিচালকরা যখন আত্মমর্যাদাবোধ বিসর্জন দিয়ে অবলীলাক্রমে অসত্য উচ্চারণ করে, লজ্জা-শরমের আবরণ দূরে নিক্ষেপ করে নৈতিকতার বন্ধন ছিন্নপূর্বক সব প্রকার অনাচারে নিমজ্জিত হয়, তখন সাধারণ জনগণও অলক্ষ্যে তাদেরই অনুসরণ করে।
দেশ বা সমাজের যেকোনো স্তরের নেতার মুখ থেকে যখন সর্বপ্রথম মিথ্যা শোনা গেল। তার কর্মে অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, অনৈতিকতা, লজ্জাহীনতা আর অনাচারের দুর্গন্ধ তারই সঙ্গীদের নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করল। তখন তার সঙ্গীরা যদি ওই নেতার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো, অসৎ কর্ম ও সীমা লঙ্ঘনে কেউ কারো সহযোগিতা করো না।’ (সূরা আল মায়েদা-২) মহান আল্লাহর এ আদেশ জানিয়ে দিয়ে স্পষ্ট বলত, ‘সৎ কর্মে সহযোগিতা করব এবং অসৎ কর্ম বরদাশত করব না।’ তা হলে সে নিজকে সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করত এবং সমাজ ও দেশে সৎ নেতৃত্ব বিকশিত হতো।
রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনের সর্বত্র যদি ওই নীতি একনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করা হতো, তাহলে জাতিকে এ দুঃষহ দুর্দিনের মুখোমুখি হতে হতো না। দুই-তিন শ’ টাকায় একটি বালিশ ক্রয় করে তা কারো পক্ষে ৫৯৫৭ টাকা এবং প্রতিটি বালিশ ভবনে উঠানোর ব্যয় ৭৬০ টাকার প্রামাণিক দলিল (Voucher) জমা দেয়ার ধৃষ্টতা হতো না। জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মে মানহীন সামগ্রী ব্যবহারপূর্বক সর্বোচ্চ মানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রামাণিক দলিল জমা দিয়ে অর্থ উত্তোলনের সাহসও কারো হতো না।
ওই নীতি দৃঢ়তার সাথে অনুসরণ করা হলে জনগণের রক্ষকদের একটি শ্রেণী ভক্ষক হতে পারত না। এক শ্রেণীর লেখক, কবি-সাহিত্যিক নৈতিকতা বিধ্বংসী রচনার সূচনা যখন করেছিল, শুরুতেই যদি তাদের কলমের লাগাম টেনে ধরা হতো, তাহলে কবিতা-সাহিত্যের নামে যৌন উত্তেজনামূলক গ্রন্থ রচনার ধৃষ্টতা কেউ করত না। fashion designer হিসেবে যারা দাবি করে তাদের জন্য যদি সূচনাতেই পোশাকসংক্রান্ত নীতিমালায় নৈতিকতা ও লজ্জাশীলতার মানদণ্ড বিধিবদ্ধ করে তা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ নতুন প্রজন্মকে প্রায় উলঙ্গ দেখার দুর্ভাগ্য শালীন ও লজ্জাশীল মানুষগুলোর হতো না।
Printing and electronics media যে দিন মিথ্যাচারের সূচনা করেছিল, তৎক্ষণাৎ যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে বর্তমানে জাতিকে (Yellow journalism) হলুদ সাংবাদিকতার বিভৎস কুৎসিত দানবীয় অবয়ব দর্শন করতে হতো না। এ ক্ষেত্রেও নৈতিকতা ও লজ্জাশীলতার সুরক্ষা প্রাচীরে ক্ষুদ্র ছিদ্রপথ তৈরি করে পরবর্তীতে এর বিশাল ব্যাসার্ধ সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে সাংবাদিকতার মর্যাদাসম্পন্ন এ জগতকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা, আত্মমর্যাদা ও লজ্জাহীন সীমালঙ্ঘনে অভ্যস্ত লোকদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। অথচ এ ধরনের স্বভাব-চরিত্রবিশিষ্ট লোকদের আনীত সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই না করে তা প্রচারে আল কুরআন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। (সূরা আল হুজুরাত-৬)
চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপন, মোবাইল কোম্পানি, ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে সূচনাতেই লজ্জাশীলতা ও নৈতিকতার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে আইন প্রণয়ন ও তা কঠোর পন্থায় প্রয়োগ করা হতো, তাহলে এসব ক্ষেত্রে জড়িত লোকদের পক্ষে জাতিকে লজ্জাহীন ও নৈতিকতার বন্ধন ছিন্নকরণ কর্মকাণ্ড আঞ্জাম দেয়া সম্ভব ছিল না। চলচ্চিত্র, নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতারা আকস্মিকভাবে নোংরামির সার্বিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে প্রচারে সাহস করেনি। সূচনাতে তারা নৈতিকতার সুরক্ষা প্রাচীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রপথ তৈরি করে চরিত্র বিধ্বংসী আবর্জনা ধীরে ধীরে সমাজদেহে প্রবেশ করিয়েছে। ওই কদর্যতার প্রবেশ পথে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতা (Obstruction) দৃশ্যমান হওয়ার পরিবর্তে তারা সহযোগিতা পেয়েছে এবং পাচ্ছে। সূচনাতেই যদি সহযোগিতা না পেত, তাহলে বর্তমানে ওই ছিদ্রপথের ব্যাসার্ধ সমুদ্রের আকার ধারণ করত না।
মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহর মনোনীত জীবনাদর্শ ইসলাম অনাচার, অরাজকতা বা উদ্ভূত সমস্যাগুলোর শাখা-প্রশাখার প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে আইনের প্রবল আঘাতে এসবের উৎসমুখ বন্ধ করে দেয়। আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভা প্রতিরোধ না করে এর জ্বালামুখ সিলগালা করাই যৌক্তিক কর্ম। অপরাধ প্রতিরোধে ইসলামের একটি পদক্ষেপের প্রতি দৃষ্টি দিলেই সার্বিক বিষয়টি অনুধাবন করা সহজ হবে। ‘ জেনা-ব্যভিচার করো না’ এ নির্দেশ না দিয়ে আদেশ দেয়া হলো, ‘তোমরা জেনা-ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও মন্দ পথ।’ (সূরা বনি ইসরাঈল-৩২)
যেসব কারণ মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে শাণিত করে অপরাধ সংঘটনের দিকে ধাবিত করতে পারে, ইসলাম সে ছিদ্র পথগুলো সিলগালা করে দেয়। অর্থাৎ দেশ ও সমাজদেহের সুরক্ষা প্রাচীরে কোনো অপশক্তিকে ছিদ্র করার অবকাশ দেয় না, ফলে জাতির জীবন নদীর তলদেশে আবর্জনা পুঞ্জীভূত হওয়ারও সুযোগ পায় না। বর্তমানে অন্তরালে নয়; বরং প্রকাশ্যে দম্ভভরে জাতির নৈতিকতার প্রাচীর ধ্বংস করা হচ্ছে, আর এ দৃশ্য দেখেও যারা নীরবে দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন অথবা আত্মরক্ষার্থে নিজকে মসজিদের চার দেয়ালে আবদ্ধ রাখছেন, তারা মহাবিপর্যয় ও ভাঙন থেকে নিজেদের কী রক্ষা করতে পারবেন?
সংঘটিত কর্মের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Opposite reaction) দৃশ্যমান হবে এটি চিরন্তন নীতি। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে বর্তমানে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও মহাবিপর্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে, এসবকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার কোনো অবকাশ নেই। এ সবই হচ্ছে ওই সব লোকের অশুভ কর্মের প্রতিক্রিয়া, যারা পার্থিব স্বার্থগত কারণে জাতির নৈতিকতার সুরক্ষা প্রাচীর ধসিয়ে দিয়েছে এবং ভয়াবহ এসব দৃশ্য দেখেও যারা নীরবে দর্শকের ভূমিকা অবলম্বন করেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কর্মফল হিসেবে’। (সূরা আর রূম-৪১) ‘আর তোমরা ভয় করো ফিতনাকেÑ যা দ্বারা তোমাদের মধ্য থেকে বিশেষভাবে শুধু জালিমরাই আক্রান্ত হবে না।’ (সূরা আল আনফাল-২৫)
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গন থেকে সমাজের ক্ষুদ্র অঙ্গন পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সর্বত্র আখেরাতে জবাবদিহির মানসিকতাসম্পন্ন আল্লাহনিষ্ঠ সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সৎ নেতৃত্ব ছাড়া জাতির জীবন নদীর তলদেশে পুঞ্জীভূত পঙ্কোদ্ধার (Dredging) পূর্বক জনজীবনে দূষণম্ক্তু নাব্যতা আনার প্রচেষ্টা সফল হবে না।
মহান আল্লাহ নেয়ামত হিসেবে আমাদেরকে স্বাধীন ভূখণ্ড দান করেছেন, দিয়েছেন বিপুল জনশক্তি এবং অন্যান্য অগণিত নেয়ামত। আল্লাহ প্রদত্ত এসব নেয়ামতকে নৈতিক মূল্যমান ধ্বংসকারী তস্করদের অশুভ তৎপরতা থেকে আমরা যদি হেফাজত করতে না পারি, তাহলে চলমান পরিবেশের কখনোই পরিবর্তন হবে না। আল কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানছি। ‘আল্লাহ কোনো নেয়ামতের পরিবর্তনকারী নন, যা তিনি কোনো জাতিকে দিয়েছেন। যতক্ষণ না তারা পরিবর্তন করে তাদের নিজেদের মধ্যে যা আছে।’ (সূরা আল আনফাল-৫৩)
লেখক : ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা