২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জালিমের ধ্বংস অনিবার্য

-

জমিজমার বিরোধ সর্বত্রই রয়েছে। জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সমাজে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। কোনো কোনো জায়গায় হতাহতের মতো ঘটনাও ঘটে। জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে, মারামারি-হানাহানির ঘটনায় কোর্ট-কাচারিতে মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যাও কম নয়। যারা অন্যায়ভাবে জমিজমা জবরদখল করেছে, অন্যের ওপর জুলুম করেছে, ধর্মীয় বিধিবিধানের সীমা লঙ্ঘন করেছে, আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর কঠিন আজাব-গজব নাজিল করেছেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের ওপর আসমান থেকে আজাব নাজিল করলাম, তাদের সীমা লঙ্ঘন করার কারণে।’ (সূরা বাকারা : ৫৯) ‘তারপর যারা জুলুম করেছে তাদের বলা হবে, স্থায়ী আজাব ভোগ করো। তোমরা যা অর্জন করতে, তোমাদের কেবল তারই প্রতিদান দেয়া হচ্ছে।’ (সূরা ইউনুস : ৫২) ‘আর যারা জুলুম করেছে, তাদের ব্যাপারে তুমি আমার কাছে কোনো সুপারিশ করো না। নিশ্চয়ই তাদের ডুবানো হবে’ অর্থাৎ ধ্বংস করা হবে। (সূরা হুদ : ৩৭)
জমি কিংবা বসতভিটার সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বিরোধ, দুর্বল, ইয়াতিম, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও বিধবার সম্পত্তি জবরদখল করা, সরকারি খাস জমি, পুকুর, খাল, নদ-নদী ও জলাশয় দখল করে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করা, জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা, ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, অন্যের সীমানার ওপর বাড়িঘর নির্মাণ করাসহ সমাজে জুলুম-নির্যাতন ও দখল-বেদখলের ঘটনা অহরহই ঘটছে। ভূমিদস্যুতার ভয়াবহ প্রভাব সমাজ, পরিবার ও পরিবেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ভূমিদস্যুতার কবলে পড়ে অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। জাল দলিল তৈরি করে কিংবা ভুয়া আমমোক্তার সেজে জমি ক্রয়-বিক্রয় করার মতো ঘটনা অহরহই ঘটছে। যারা এ ধরনের প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত থাকবে, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। হজরত আবদুুল্লাহ ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘জুলুম’ কিয়ামতের দিন অনেকে অন্ধকার রূপ ধারণ করবে’। ( বোখারি : ২২৮৫)
হজরত সাঈদ বিন জায়েদ রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কারো এক বিঘত জমিন জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে দখল করবে, কিয়ামতের দিন সাত স্তবক (সাত স্তরবিশিষ্ট) জমি থেকে ওই জমিটুকু তার গলায় বেড়িরূপে পরিয়ে দেয়া হবে।’ (বোখারি ও মুসলিম : ২২৯১) হজরত সালিম তার পিতা হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো কিছু জমি নেবে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত স্তবক জমিন পর্যন্ত মাটির নিচে ধসিয়ে দেয়া হবে।’ (মিশকাত : ২৮২৩) হজরত ইয়ালা বিন মুররা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো জমিন দখল করে, তাকে আল্লাহ পাক তা সপ্ত স্তর পর্যন্ত খনন করতে বাধ্য করবেন, তারপর তার গলায় তা বেড়িরূপে পরিয়ে রাখা হবেÑ সব মানুষের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত। (মিশকাত : ২৮৩১)
জোর করে জমিজমা দখল করার মতো গোনাহের কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া জোর করে জমিজমা দখলকারীকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হজরত আবদুুল্লাহ ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দও করবে না।’ (বোখারি : ২২৮০) পরকালে জান্নাতের পথে বাধা হয়, এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তৌফিক দান করুন। আমীন।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
‘নানা গুজবে’ সেন্টমার্টিনে বিধিনিষেধ বুটেক্স শিক্ষার্থীদের ওপর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হামলা না’গঞ্জের পপি হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি গঠিত চট্টগ্রামে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে শতাধিক মার্কেট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বৈষম্যের শিকার পল্লবী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহবুব কুবির সাথে ইবনে সিনা ট্রাস্টের চুক্তি, ২৫ শাখায় মিলবে সেবা এলাকাবাসীকে চাঁদাবাজি থেকে বিরত থাকতে কায়কোবাদের খোলা চিঠি ধলেশ্বরী নদীর মোল্লারহাট ফেরিঘাট অবৈধ দখলদারের নিয়ন্ত্রণে মোহন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী আজ ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি পেলেন ঢাবির ১৫ শিক্ষার্থী

সকল