২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাষ্ট্রীয় সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ

-


রাষ্ট্রীয় সম্পদ একটি পবিত্র আমানত। প্রত্যেক নাগরিকের এ আমানত রক্ষা করা মৌলিক দায়িত্ব। আল কুরআনুল কারিমে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমাদের প্রাপ্য আমানতগুলো প্রাপকের কাছে ফিরিয়ে দাও।’
পেয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘যার আমানত নেই, তার ঈমান নেই।’ কুরআন-সুন্নাহর এই মর্মবাণী অনুযায়ী প্রতীয়মান হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ প্রত্যেক নাগরিকের ঈমানি দায়িত্ব। নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে ইসলাম জোর তাগিদ দিয়েছে। সে অধিকার পূরণ করা যেমনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনি রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ হেফাজত করা নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। প্রিয় রাসূল কারিম সা: বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় হবে। অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন বলেন, ‘নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই’। আমাদের দেশে রয়েছে অনেক সরকারি খাস জমি যা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সেখানে অবৈধ স্থাপনা নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের শামিল। পেয়ারা নবী মুহাম্মদ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে এক বিঘত জমি দখল করে, কিয়ামতের দিন সাত স্তবক জমিন তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে।’
রাষ্ট্রের পরিচালনা ও উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদনে রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা কবিরা গুনাহ। এর ফলে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। মহান রাব্বুল আল আমিন বলেন, ‘আর যারা আত্মসাৎ করে তারা কিয়ামতের দিন আত্মসাৎকৃত সম্পদসহ উপস্থিত হবে। আর প্রত্যেকে তার উপার্জনের পরিণাম ভোগ করবে।’
নবী করিম সা: সম্পদ পাহারা দেয়ার জন্য কারকারা নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন, সে মারা গেল রাসূল সা: বললেন, ‘সে জাহান্নামে রয়েছে’। লোকেরা আসল ঘটনা জানার জন্য তাকে দেখতে গেল। তারা একটি জামা দেখতে পেল যা সে আত্মসাৎ করেছিল। বিশ্ব মানবতার আদর্শের মূর্ত প্রতীক প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা:-এর হাদিসগুলো ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এ পৃথিবীর মানুষের জন্য মুক্তির ও শান্তির পথের নবীজী বলেন, ‘যদি আল্লাহ কোনো বান্দাহকে জনগণের শাসক নিযুক্ত করেন আর সে তাদের অধিকার হরণ করে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর জান্নাত হারাম করে দেন’।
লেখক : শিক্ষাবিদ

 


আরো সংবাদ



premium cement