২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নতুন প্রকাশ

-

উমর ইবনুল খাত্তাব (রা:)
আবদুল মালিক মুজাহিদ
অনুবাদ : মো: মনজুরুর রহমান
প্রকাশক : দারুসসালাম বাংলাদেশ
৩৮/৩, কম্পিউটার কমপ্লেক্স, বাংলাবাজার, ঢাকা।

আল্লাহর রাসূল সা: উমর রা:কে অত্যন্ত প্রতিভাবান সাহাবি হিসেবে গণ্য করতেন। বস্তুত পৃথিবীতে উমর রা: একজনই এসেছেন। তার তুলনা তিনি নিজেই। রাসূল সা: বলেছেন, ‘আমার পর যদি কেউ নবী হতেন সে উমর।’ মহান আল্লাহও তাকে অনেক বড় বড় ও কৌশলী কাজ সম্পাদনের জন্য পছন্দ করেছিলেন। তিনি বাইজান্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের আধিপত্য ও প্রভাব চূর্ণবিচূর্ণ করেছিলেন।
হজরত উমর রা: এমন একজন শাসক ছিলেন, তিনি প্রজাসাধারণের সুখ শান্তির দিকে সর্বদা টনটনে নজর রাখতেন। ছদ্মবেশে রাতের আঁধারে গরিব দুঃখীর খোঁজখবর নিতেন। প্রয়োজনে নিজে খাদ্য বহন করে প্রজাদের ঘরে পৌঁছে দিতেন। নিজে দেশের খলিফা হয়েও আল্লাহ ভীরু, সত্যবাদী দুধ বিক্রেতা মেয়েকে নিজের পুত্রবধূ করতে দ্বিধা করেননি। মরুভূমির উত্তপ্ত বালুতে নিজে উটের রশি ধরে এগিয়ে গেছেন ভৃত্যকে উটের পিঠে বসিয়ে।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যখনই চিঠি আসত তখনই উমর রা: খুব ভালোভাবে ওই চিঠিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন এবং প্রাপকের কাছে ওই সংবাদ অথবা চিঠি পৌঁছে দিতেন। তিনি তাদের যোদ্ধাদের পরিবারের লোকদের বলতেন, তোমাদের এই চিঠি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধরত আর তোমরা আল্লাহর রাসূল সা:-এর শহর মদিনাতে অবস্থান করছ। তোমরা যদি এই চিঠি পড়তে পারো এবং এর উত্তর দিতে পারো তাহলে তো খুবই ভালো। নতুবা আমি এই চিঠি তোমাদের পড়ে শুনাতে পারি এবং তোমাদের পক্ষ থেকে এর উত্তরও লিখে দিতে পারি। এভাবে ওই সময়ের সবচেয়ে বড় শাসক মদিনার যোদ্ধাদের ঘরে ঘরে যেতেন এবং তাদের চাহিদা পূরণ ও চিঠি বিতরণ করতেন।’
লেখক আবদুল মজিদ মুজাহিদ উমর রা:-এর জীবনের নানা দিক নিয়ে ৩৩৭টি শিরোনামে এ গ্রন্থ রচনা করেছেন। অনুবাদক মো: মনজুরুর রহমান দক্ষতার সাথে গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন। ৩৩২ পৃষ্ঠার অফসেট পেপারে ঝকঝকে ছাপা দৃষ্টিনন্দন ৪ রঙের প্রচ্ছদের বোর্ড বাঁধাই গ্রন্থটির হাদিয়া রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। মূল্যবান এ গ্রন্থটি সংগ্রহে রাখা যেতে পারে।
হ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন


আরো সংবাদ



premium cement