মানুষের মৌলিক অধিকার
- মোহাম্মদ হাশিম কামালি
- ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা ঢালাওভাবে এ অভিমত প্রকাশ করেছেন, ইসলামে মানুষের সহজাত অধিকার ও স্বাধীনতা, মৌলিক বা অন্য যেকোনো অধিকারের ধারণার কোনো স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। শাক্ত-এর মতে, ‘ইসলামী আইন হচ্ছে একই ধর্মীয় আজ্ঞাধীন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কর্তব্য, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, আইন ও নৈতিক বাধ্যবাধকতার একটি ব্যবস্থা’ হেমিলটন গিব মন্তব্য করেন, ‘ইসলামী সরকার তত্ত্বে নাগরিকদের কর প্রদান ও অনুগত প্রজা হওয়া ছাড়া আর কোনো মর্যাদা বা কাজ নেই। একই ধরনের যুক্তি প্রদর্শন ও মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আরেকজন বিশ্লেষক আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, ব্যক্তির অধিকারের মতো কোনো বিমূর্ততার অস্তিত্ব ইসলামে নেই। এমন এক ব্যবস্থায় ‘ব্যক্তির কোনো অধিকার বা স্বাধীনতা থাকতে পারে না, তার কেবল বাধ্যবাধকতা থাকবে।’ বিতর্কে জড়িত হওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়, বরং এমন কিছু অভিমত তুলে ধরা উচিত যা সঠিক ও প্রমাণসিদ্ধ নয়। আমি এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছি।
ইসলামী আইন আল্লাহর অনুগত বান্দাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়ে থাকে। তারা মহান আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো কাজ করেন অথবা তা করা থেকে বিরত থাকেন এবং নির্দিষ্ট পন্থায় পরস্পরের সাথে আচরণ করেন। ব্যক্তিকে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে ও তাঁর বিধিবিধান মেনে চলতে হবে, আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনো ধরনের সম্পর্কের পথ তাঁর জন্য খোলা নেই। তিনি তাঁর করুণার নিদর্শন হিসেবে মানুষের কিছু অধিকারও দিয়েছেন। যেসব বিশ্লেষক শরিয়ায় প্রদত্ত অধিকার থাকার বিষয় ও বাস্তবতা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন, তারা তাদের যুক্তি পেশের সময় এ প্রেক্ষাপটের কথা উচ্চারণে বাধা। তবে এরপরও আমরা একথা বলতে পারি যে, আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা ও হুকুম প্রকাশ করেছেন যা মানুষের ওপর আরোপিত করেছে কিছু অধিকার; যা তাঁর স্বর্গীয় অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। যেসব বিশ্লেষক শরিয়ার অধিকারের স্থান ও বাস্তবতা মানেন না; তারা তাদের যুক্তিতে সচেতনতার পরিচয় দিতে পারেননি এবং তারা যে ভাসা ভাসা আলোচনা করেছেন, তাতে অধিকার ও কর্তব্যের বিষয়ে শরিয়ার সমর্থনসহ ইসলাম এ সম্পর্কে যে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, সে সম্পর্কে সংশয়ের সৃষ্টি করেছেন। শত শত বছর ধরে মুসলিম বিচারক ও বিশেষজ্ঞরা অব্যাহতভাবে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও তাঁর হুকুম-আহকাম মেনে চলার সুফল সম্পর্কে বর্ণনা করে এসছেন। তবে এ সত্ত্বেও তারা ব্যক্তির অধিকার এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা ও পবিত্রতার ব্যাপারে কথা বলতে কখনো দ্বিধা করেননি। তারা অনুরূপভাবে অত্যন্ত জোরালো ভাষায় বলেছেন, শরিয়তের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ ও কল্যাণসাধন।
কোনো অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে আখ্যায়িত করার অর্থ হচ্ছে আদালত সমাজের অস্তিত্বের জন্য এ অধিকারকে রাজনৈতিকভাবে অত্যাবশ্যক অথবা ব্যক্তি এবং তার মর্যাদা ও আত্মসম্মানের জন্য প্রয়োজনীয় বলে স্থির করেছে। তাই দুই ধরনের মৌলিক অধিকার রয়েছে, যা প্রায়ই যুগপৎভাবে ঘটে : এক ধরনের মৌলিক অধিকার মৌলিক মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে এবং অপরটি সামাজিক নীতি বিবেচনার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নীতিগতভাবে আমরা যেমন কোনো ব্যক্তিকে হত্যা না করার অধিকার অথবা তার গোপনীয়তা ও কথা বলার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা করে থাকি; তেমনি সামাজিক নীতি হিসেবে আমরা সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মতো রাজনৈতিক পদ্ধতির শুদ্ধতা বজায় রাখার প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।
কোনো বৈধ অধিকার মৌলিকভাবে নৈতিক অধিকার বা মূল্যবোধে অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হলে তাকে মৌলিক অধিকার বলা যেতে পারে। এ ধরনের কোনো অধিকার যেসব মূলনীতির ভিত্তিতে বিকশিত হয়, সেসব মূলনীতি প্রশ্নাতীতভাবে কোনো নৈতিক বিধানের মূলনীতি হিসেবে বিবেচিত হলে তখনই তাকে মৌলিক অধিকার বলে গণ্য করা হয়। এ কারণে পাশ্চাত্যের আইনশাস্ত্রে কর্তৃত্ববাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ও আইনের সামাজিক যোগাযোগ তত্ত্বের মতো বহু ভিন্ন ভিন্ন দার্শনিক প্রেক্ষাপটকে গ্রহণ করা হয়েছে। আইনের মৌলিক মূল্যবোধ কাঠামো নিরূপণের লক্ষ্যে এগুলোর সমন্বয় সাধন করা হয়েছে যাকে ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মৌলিক এবং ক্রমের দিক থেকে অগ্রগণ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
অধিকারের বিষয় মূল্যায়নে শরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে যে প্রভাব কার্যকর হয়ে থাকে, এসব তত্ত্বের বেশির ভাগ বিষয় তার থেকে ভিন্ন কিছু নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মুসলিম জুররা মাসয়ালাকে শরিয়ার একটি লক্ষ্য বা দর্শন হিসেবে বিবেচনা করেছেন যারা তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত পক্ষে মাসয়ালা হচ্ছে কিছু খোদায়ী মূল্যবোধের অধীনে সহায়ক অন্যতম একটি বিধান।
অন্যক্ষেত্রে অধিকারের পর্যায়ে পড়ে এমন অনেক বিষয়ে পশ্চিমা আইনগত তত্ত্বের সাথে শরিয়ার মিল রয়েছে, যা নৈতিকতার মৌলিক নীতির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ধর্মনিরপেক্ষ আইনের থেকে শরিয়ার পার্থক্য রয়েছে। শরিয়তে নৈতিক ও আইনগত মূল্যবোধ নিরূপণের ক্ষেত্রে আল-কুরআনের প্রত্যাদেশকে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। শরিয়ার অধীনে কুরআন-হাদিসের প্রাথমিক মূলনীতি ও কর্তৃপক্ষীয় সুস্পষ্ট নির্দেশের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বলে কোনো অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। এ কথা স্বীকার্য যে, এসব উৎসব মৌলিক অধিকারকে পৃথক শ্রেণীর অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয় সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে কুরআনে এ সম্পর্কিত কিছু মূলনীতির ঘোষণা আছে, হাদিসে যা পুনর্ব্যক্ত ও সমুন্নত হয়েছে এবং ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐকমত্য রয়েছে। এসব মূলনীতিকে ইসলাম ও এর আইনব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। এ দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিমালা ইসলামে সব ধরনের আইনগত ভাবনা ও এর বিকাশের প্রায় সব পর্যায়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে।
ইসলামী আইনের সবচেয়ে বড় উৎস আল-কুরআনের আলোকে ইসলামে মৌলিক অধিকার ও অন্যান্য অধিকারের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্যের বিষয় তুলে ধরা যেতে পারে এবং এ ব্যাপারে সর্বসম্মত ঐকমত্য রয়েছে। পবিত্র কুরআনে অনেক অধিকারের বিষয়ে সুস্পষ্ট আদেশ রয়েছে। যেমন বেঁচে থাকার অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, গোপনীয়তার অধিকার, চলাচলের স্বাধীনতার অধিকার, সন্তানের ওপর বাবা-মায়ের অধিকার, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার, ব্যক্তিগত সম্মান ও মর্যাদার অধিকার, আইনের দৃষ্টিতে সবার সমান অধিকার ইত্যাদি। এগুলোকে মৌলিক অধিকারের শ্রেণীভুক্ত করা যেতে পারে। এ ছাড়া পবিত্র কুরআনে কিছু বিধি ও মূলনীতির বিষয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা শরিয়াকে স্বতন্ত্র পরিচিতি দিয়েছে এবং এর বিধিবিধান ও মতবাদের ওপর যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এভাবে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ (হিসবাহ), বিম্বাস ও আস্থা (আমানাহ), সৎকাজে সহযোগিতা (তা’আউন) ইত্যাদি কুরআনের মূলনীতি অনেক মৌলিক অধিকারকে শনাক্ত করার কর্তৃত্বপূর্ণ কাঠামো দিতে পারে। এসব অধিকার ব্যক্তি, সমাজ অথবা পরিবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং জাতীয় সীমানার ভেতর বা বাইরে যার কোনো হেরফের হয় না। পবিত্র কুরআনে এ ধরনের মূলনীতির বহু দৃষ্টান্ত যেমন : কষ্ট দূর করা (রাফ ‘আল হারাজ), হাদিসে এর সপক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানানো হয়েছে।
অধিকন্তু শরিয়ার আইনের প্রায় সব ক্ষেত্রে বিচিত্র বিষয়ের বিস্তৃত ধারণা তুলে ধরা হয়েছে। মৌলিক অধিকারের কথা হয়তো সরাসরি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অথবা হয়নি; তৎসত্ত্বেও তা মৌলিক অধিকারের ভিত্তি হিসেবে একটি নির্দিষ্ট অধিকারকে চিহ্নিত করা যায়। আরো উল্লেখ করা যেতে পারে, পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ পাঁচটি অত্যাবশ্যকীয় অধিকার যেমনÑ জীবন, ধর্র্ম, জ্ঞানবুদ্ধি, মর্যাদা ও উত্তরাধিকারের অধিকার দিয়েছে।
মুসলমানরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের চিন্তা-চেতনা ও আচার-আচরণের ওপর কুরআনের গভীর প্রভাব রয়েছে। পবিত্র কুরআনকে কর্তৃত্ব ও প্রভাবের একটি স্থিতিশীল উৎস হিসেবে অভিহিত করাই উত্তম, যা আংশিক ব্যাখ্যার জন্য উন্মুক্ত; তবে এর সুনির্দিষ্ট আদেশ-নিষেধ বা হুকুম-আহকাম ও মৌলিক মূল্যবোধের কাঠামো অপরিবর্তনীয়। অতএব কুরআনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূল্যবোধের ধারাবাহিকতা। অতঃপর এ কথা বলা যায়, কুরআন-সুন্নাহতে মৌলিক অধিকারের মূল ধারণা ও তার শনাক্তকরণের বিষয় কেবল গ্রহণযোগ্যই নয়, বরং শরিয়ায় একে অপরিহার্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে এবং একে একটি সুস্পষ্ট রূপ দেয়া হয়েছেÑ যা কুরআনের মূল্যবোধের সাধারণ নিয়মের আওতায় একটি নির্দিষ্ট অধিকার, বিধিবিধান ও মূলনীতির মৌলিক সূচক বা নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
একটি সমান্তরাল বিষয় হলো : জনস্বার্থ বিবেচনা বা মাসলাহ। আলেমরা একে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। তা হলো : ‘অত্যাবশ্যকীয় স্বার্থ (যারুরিইয়াত), সম্পূরক স্বার্থ (হাজিইয়াত) ও কাক্সিক্ষত সৌন্দর্যবিধান (তাহসিনিয়াত)। অত্যাবশ্যকীয় স্বার্থ বা মাসালাহকে (একবচন-মাসলাহ) এমন স্বার্থ বলে সংজ্ঞায়িত করা যায়, যা জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং যখন এর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়; তখন সমাজের স্বাভাবিক নিয়মনীতি ভেঙে পড়ে। পাঁচটি, মতান্তরে ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় মাসলাহ রয়েছে তা হলো : জীবন, ধর্ম, বিবেকবুদ্ধি, সংখ্যালঘুর মতামত ও উত্তরাধিকার। কিছু বিশেষজ্ঞ এর সাথে যোগ করেন মর্যাদা (ইরদ), তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষজ্ঞ এতে ‘জীবন’-এর অন্তর্ভুক্ত বলে অভিমত দিয়েছেন। যেকোনো মূল্যে এটা প্রত্যাশা করতে হবে। কারণ এগুলো বিপন্ন বা ভেঙে পড়–ক সমাজ এটা প্রত্যাশা করতে পারে না। ইসলামী সরকারের অন্যতম মৌলিক কর্তব্য হলো : এসব মাসলাহ রক্ষা করা এবং এর আরো উন্নয়ন ও বিকাশ সাধন করা। এরপর গুরুত্বের ক্রমানুসারে আসে সম্পূরক স্বার্থ। তারপর কাক্সিক্ষত সৌন্দর্য। এ শ্রেণীর স্বার্থের বিষয় প্রায় পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং তা বিচার-বিশ্লেষণ করার জন্য উন্মুক্ত। যে পরিস্থিতিতে এগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে, তার আলোকে এর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। এক পক্ষ সম্পূরক স্বার্থকে উচ্চতর স্বার্থের অন্তর্ভুক্ত এবং অপর পক্ষ নিম্ন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত বলে স্থান দিয়ে থাকেন। অত্যাবশ্যকীয় মূল্যবোধ রক্ষার উপায় এ পদ্ধতির মধ্যে পরিস্থিতির আলোকে পার্থক্য দেখা দিতে পারে; তবে এর মৌলিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
সমসাময়িক মুসলিম দেশগুলো ইতোমধ্যে সংবিধান প্রণয়নে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টান্ত অর্জন করেছে; যা অধিকার ও স্বাধীনতা ও দু’শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে সাংবিধানিকভাবে অথবা প্রথা হিসেবে সাধারণভাবে প্রযোজ্য হয়েছে। তবে উপনিবেশবাদ-পরবর্তী সদ্য স্বাধীন মুসলিম দেশগুলোতে সংবিধানবাদের যে প্রচলন হয়, তা ছিল একান্তভাবেই পশ্চিমা অনুসৃতি। এসব দেশের বেশির ভাগ তাদের ইসলামী উত্তরাধিকারের সাথে এর একটা যোগসূত্র বজায় রাখার চেষ্টা করেনি। এ বিদেশী শেকড়ের কারণে এ ধরনের যোগসূত্র নির্মাণের চেষ্টা বরং শরিয়ার নির্দেশনার আলোকে বেশির ভাগ উত্তরাধিকার বজায় রাখা অথবা নতুন করে নির্মাণ করা যেতে পারে; এতে সমসাময়িক মুসলমানদের আইনগত ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গতি ও মিল বাড়বে। যার ফলাফল অত্যন্ত মূল্যবান বলে বিবেচিত হতে পারে।
ভাষান্তর : মো: সাজ্জাদুল ইসলাম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা