২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কালেমা পাঠের ফজিলত

-

কালেমা অর্থ হলো ঈমান বা বিশ্বাস। যিনি আসমান, জমিন, জিন ও ইনসানসহ হাজারো মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। তিনি সবার রব বা প্রতিপালক। তাঁর উপর সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করার নামই হলো ঈমান। ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কালেমা হলো ঈমানের মূল ভিত্তি। আল্লাহ তায়ালাকে একমাত্র উপাস্য মেনে ইবাদত-বন্দেগি কিংবা দান-সাদকা না করলে, ওইসব আমল ও দান-সাদকা পরকালে কোনো কাজে আসবে না। ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের প্রথমটি হলো ঈমান। ঈমানের অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এর মধ্যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হলো সর্বপ্রথম। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘ঈমানের ৭০টির বেশি অথবা ৭৩টি শাখা-প্রশাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম শাখা হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা, আর সর্বনি¤œ শাখা হচ্ছে পথে বা রাস্তার মধ্য থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দেয়া এবং লজ্জা হলো ঈমানের একটি শাখা।’ ( মুসলিম : ১/৩৫)
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হলো ঈমানের চাবি। ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলে ঈমান মজবুত হয়। যে ব্যক্তি কালেমা পাঠ করে মৃত্যুবরণ করবে, ওই ব্যক্তি জান্নাতি হবে। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘জান্নাতের চাবি হলো এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রতিপালক নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৩৬/২২১০২) হজরত ওসমান রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ঘোষণা দেয় এবং এরই উপর মৃত্যুবরণ করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম : ১/২৬)
মুমিন বান্দার কাছে কালেমার জিকির সর্বত্তোম জিকির। ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকিরে মুমিন বান্দার অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। যে ব্যক্তি বেশি বেশি কালেমার জিকির করবে ওই ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালা পরকালে জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দেবেন এবং আকাশের সব রহমতের দরজা খুলে দেবেন। হজরত উবাদা ইবনে সামিত রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূল সা:কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসূল। তার জন্য আল্লাহ জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (মুসলিম : ১/২৯) হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো বান্দা যদি ইখলাসের সাথে কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করে, তবে তার জন্য আকাশের দরোজাগুলো খুলে দেয়া হয়। (তিরমিজি : ৬৮)
আমাদের অসুস্থ কিংবা মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কালেমা পড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। মৃত্যুর সময় কালেমা পড়া নসিব না হলে বেঈমান হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। আর বেঈমান ব্যক্তি নিশ্চিত জাহান্নামি। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের কালেমার তালকিন করো।’ (মুসলিম : ১/৩০০) হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত হয়েছেÑ হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তির শেষ কথা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে সে জান্নাতে যাবে।’ (আবু দাউদ : ২/৪৪৪)
দুনিয়ার সব পেরেশানি থেকে মুক্তি এবং পরকালের চিরস্থায়ী জান্নাতের সুখ শান্তি লাভের জন্য বেশি বেশি কালেমা পাঠ করা প্রয়োজন।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
রাখাইনে গণহত্যা ও চলমান সহিংসতার বিচারের দাবি রোহিঙ্গাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির কুলাউড়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় ন্যাশনাল হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন : কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পিরোজপুরে একজনের যাবজ্জীবন নড়াইলে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নোবিপ্রবিতে মানবিকতার আড়ালে হচ্ছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ পুনর্বাসন ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ‘ডি চক’ যাত্রা, উত্তাল পাকিস্তান

সকল