২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফাইল ফটোঃ কক্সবাজার, ২২ জুলাই, ২০২৩। - ডয়েচে ভেলে

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নিপীড়ন ও যৌন সহিংসতা নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রমাণ হাজির করেছে মিয়ানমার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম)।

গতকাল বুধবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা বিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারণা এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যৌন সহিংসতার তদন্ত ও শাস্তি প্রদানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়ে দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা।

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৮ সালে আইআইএমএম বা মেকানিজম গঠন করে। জাতিসঙ্ঘ মেকানিজমকে ২০১১ সালের পর মিয়ানমারে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের আলামত সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের দায়িত্ব দেয়।

এক বিবৃতিতে আইআইএমএম প্রধান নিকোলাস কউমজিয়ান বলেন,‘এক প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোপন ফেসবুক নেটওয়ার্কের বিবরণ দেয়া হয়েছে। তারা ২০১৭ সালের ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে মিয়ানমার রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এই কাজগুলোর তদন্ত করা ও শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’

কউমজিয়ান আরো বলেন,‘এই দুই প্রতিবেদন ব্যতিক্রমী ভিত্তিতে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। মেকানিজম যে উপাদান সংগ্রহ করেছে এবং বিশ্লেষণ করেছে তার সিংহভাগ অবশ্যই গোপনীয় থাকতে হবে।

প্রথম প্রতিবেদনে মেকানিজমের বিশ্লেষণে ফেসবুকের পেজগুলোতে ১০ হাজারের বেশি পোস্ট শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলোকে মেকানিজম ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে। এরকম একটি পোস্টে রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যা বা স্থায়ীভাবে মিয়ানমার থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়ে ২০০টির বেশি কমেন্ট পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ব্যাপক সহিংসতার সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সমন্বিত ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচারণা চালাচ্ছিল।

দ্বিতীয় প্রতিবেদনে উপসংহারে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের তদন্ত ও শাস্তি প্রদানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি বিষয়ক কনভেনশনের অধীনে মিয়ানমারের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন হতে পারে।

আইআইএমএম আর্জেন্টিনার আদালতের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আইসিসির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আইসিজে আন্তর্জাতিক আদালত এবং আর্জেন্টিনার আদালতে প্রমাণ পাঠিয়েছিল।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যার তদন্ত ও চাকরিতে পূর্ণবহালের দাবি গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত : হামাস অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রতিবাদ সমাবেশ নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে স্বাগত বিশ্ব নেতাদের আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা ববিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিষয়ে সব পক্ষের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের হাসিনার পালানোর দৃশ্য মনে করতে বললেন ফারুকী

সকল