গাজায় রমজানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রস্তাবে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০
মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপ ইসরাইল-হামাস বৈরিতা বন্ধের আলোচনায় ক্ষতি করতে পারে।
১০ নির্বাচিত কাউন্সিল সদস্য প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। এদিকে, গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ‘অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ সমর্থনে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আনা একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
জাতিসঙ্ঘে ২২ রাষ্ট্রের আরব লীগ শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সবাইকে ‘ঐক্য ও জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার’ এবং ‘রক্তপাত বন্ধ, মানুষের জীবন রক্ষা ও আরো মানুষের দুর্ভোগ ও ধ্বংস এড়াতে’ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরব লীগ বলেছে, যুদ্ধবিরতির সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। কারণ, রমজান শুরু হয়েছে ১০ মার্চ ও শেষ হবে ৯ এপ্রিল।
সোমবার সকালে কাউন্সিলে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। শনিবার সকালে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও শনিবার ভোরে তা পিছিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের এক কূটনীতিক।
অনেক সদস্য রাষ্ট্র আশা করছে, ৭ অক্টোবর গাজার হামাস শাসকরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা শুরু করার পর শুরু হওয়া যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানাবে জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থাটি।
এরপর থেকে নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে দুটি প্রস্তাব গ্রহণ করলেও কেউই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লড়াইয়ে গাজায় ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। মন্ত্রণালয়টি গণনার ক্ষেত্রে বেসামরিক ব্যক্তি ও যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করেনি। তবে বলেছে, মৃতদের দুই-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।
সোমবার ভোটাভুটির জন্য নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবে রমজানে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়েছে। আর এর ওপর ভিত্তি করেই ‘স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির দিকে পরিচালিত করবে’।
একইসাথে ‘সব জিম্মির তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবি জানানো হয়েছে এবং গাজা উপত্যকা জুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা ও মানবিক সহায়তা সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
শুক্রবারের ভোটাভুটির পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড কাউন্সিলকে বলেন, প্রস্তাবে যা বলা হয়ে তা এই অঞ্চলে সংবেদনশীল কূটনীতিকে সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো, প্রস্তাবটি আসলে হামাসকে আলোচনায় থাকা চুক্তি থেকে সরে আসার অজুহাতের সুযোগ করে দিতে পারে। সূত্র : ইউএনবি