আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫২
আবাহনীর-মোহামেডানের ম্যাচে বরাবরই উত্তেজনা থাকে তুঙ্গে। তবে গতকাল ঘটে গেল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হকি লিগে মাঠের মাঝেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দল। এমনকি এক পর্যায়ে মাঠ ছেড়ে যায় মোহামেডান। এরপর আর মাঠে না ফিরলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আবাহনীকে।
গোল সংখ্যায় এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হলো না মোহামেডানের। শুক্রবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মারামারির পর মাঠ ছেড়ে যায় সাদা-কালোরা। অথচ তখন তারা ৩-২ গোলে এগিয়ে, জয়ের পথে। এরপর মোহামেডান আর মাঠে না ফিরলে আম্পায়াররা আবাহনীকে ৫-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করে।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের আগে থেকেই। অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির হলুদ কার্ড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার দাবিতে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচটি না খেলারই হুমকি দিয়েছিল মোহামেডান। তবে শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মোহামেডান ঠিকই মাঠে ফেরে।
মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুরুতেই ভারতীয় আফ্ফান ইউসুফের পেনাল্টি কর্নারের গোলে আবাহনী এগিয়ে যায়। এরপর ২৫ মিনিটে আবাহনীকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন পুষ্কর খীসা। কিন্তু এরপরই মোহামেডান ঘুরে দাঁড়ায় দুর্দান্তভাবে। মালয়েশিয়ান ফাইজাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানই এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।
খেলার নিয়ন্ত্রণ তখন পুরোপুরি সাদাকালোদের হাতে। একের পর এক আক্রমণে কোনঠাসা করে ফেলে আবাহনীকে। এর মাঝে ৪২ মিনিটে আফ্ফান ইউসুফের সাথেই লেগে যায় মোহামেডানের জুল পিদাউস বিন মিজানের। ধাক্কাধাক্কি থেকে শুরু, যা রূপ নেয় হাতাহাতিতে।
জড়িয়ে পড়ে মোহামেডান ও আবাহনীর একাধিক খেলোয়াড়। ডাগ আউট থেকে অন্যরাও ছুটে চলে আসলে হাতাহাতি গুরুতর আকার ধারণ করে। দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে মোহামেডানের ২ খেলোয়াড় ও আবাহনীর একজনকে লালকার্ড দেখান আম্পায়ার। আর দুই দলের একজন করে দেখেন হলুদ কার্ড।
আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি মোহামেডান, মাঠ ছেড়ে চলে যান খেলোয়াড়েরা। আবাহনীর খেলোয়াড়েরা অবশ্য মাঠেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মোহামেডান দল আর মাঠে নামলর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে আম্পায়ার ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান। ৫-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয় আবাহনীকে।
তবে নাটকীয়তা ছিল এর পরেও। ঘটনার নিরব এক প্রতিবাদ জানায় মোহামেডান। আম্পায়ারের শেষ বাঁশি বাজানোর পর উল্লাসে মেতে ওঠেন সাদাকালো দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। মোহামেডান ক্লাবের পতাকা নাড়িয়ে উল্লাস করে যেন আবাহনীকে ব্যাঙ্গ করে তারা।