বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা
- ডা: হুমায়ুন কবীর হিমু
- ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে দেশের একটি বিরাট অঞ্চল। দিন দিন বানভাসি মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। বানভাসি এ মানুষ নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। তারা ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশায়সহ নানান ধরনের পেটের পীড়া, চোখ ওঠা, মশার ও সাপের উপদ্রবে দিশেহারা।
ডায়রিয়া : বন্যার সময় সবচেয়ে বেশির সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় খাবার পানি। বিশুদ্ধ পানি পান না করার দরুন হতে পারে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ও হেপাটাইটিসের মতো অসুখ। এ সময় পানি অবশ্যই ফুটিয়ে পান করতে হবে। একটি পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করে প্রথমেই কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। তলানি পড়লে উপরের পরিষ্কার পানি আলাদা পাত্রে ঢেলে নিয়ে ফুটান। পানি ফুটতে শুরু করলে আরো ১০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে পান করুন। ফুটানো সম্ভব না হলে ক্লোরিনের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। এক্ষেত্রে এক গ্যালন পানিতে এক কাপের চতুর্থাংশ ব্লিচিং পাউডার বা ফিটকিরি (৪-৬ শতাংশ ক্লোরিনযুক্ত) দিয়ে ভালোভাবে মেশানোর পর ৩০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করতে হবে। তলানি পড়লে উপরের পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। এছাড়াও ট্যাবলেটের মাধ্যমেও পানি বিশুদ্ধ করা যায়। একটি হ্যালোট্যাব ২০ লিটার পানিতে দিয়ে ৩০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করার পর পানি পান করতে পারেন।
চোখ ওঠা : বন্যার সময় ও পরে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হন অনেকেই। এটি হয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে। চোখ উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শমত ৪-৮ ঘণ্টা পরপর অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ যেমন- ক্লোরামফেনিকল দিতে হবে। কোনো ড্রপ একবার ব্যবহার করলে অন্য কেউ তা ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার হাতে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। নোঙরা-ময়লা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করবেন না। চোখ ডলবেন না। অপরিষ্কার হাত চোখে লাগাবেন না। ঘুমানোর সময় যে চোখ উঠেছে সেই কাতে ঘুমান।
মশাবাহিত রোগ : বন্যার কয়েক সপ্তাহ পর মশার উপদ্রব খুব বেড়ে যায়। এসময় মশার কামড়ে ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন। বাড়ির আশপাশে ফুলের টব, টায়ার, বালতি ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মশার কয়েল ব্যবহার করতে পারেন। মশা মারার জন্য কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিয়ে ¯েপ্র করতে হবে।
পানিতে ডোবা : বন্যায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার হার বেশি হয় বিশেষত শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন। তাদের সবসময় চোখে চোখে রাখুন।
সাপে কাটা : বন্যার সময় মৃত্যুর প্রধান কারণ সাপে কেটে মারা যাওয়া। এ সময় সাপদের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যায় বলে তারা বাসাবাড়িতে চলে আসে। সাপ দেখলেই মারতে যাবেন না। রাতের বেলা বের হলে লাইট জ্বালাতে ভুলবেন না। সাপে কাটলে ওঝার কাছে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে নিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা