২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দ্রুত ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, জরুরি অবস্থা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার

দ্রুত ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, জরুরি অবস্থা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার - ছবি : সংগ্রহ

আফ্রিকায় এপর্যন্ত পাঁচ শ' জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মাঙ্কপক্স অন্য মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়েছে।

সাধারণত, কারো মাঙ্কিপক্স হলে তার সংস্পর্শে আসা মানুষদের তা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। তাতে শরীরে জ্বরের উপসর্গ থাকে। তবে জ্বর খুব বেশি হয় না। আর চামড়ায় পুঁজ-ভর্তি ক্ষত দেখা দেয়। এই রোগ প্রাণঘাতীও হতে পারে।

এই ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ডেমক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে প্রথম দেখতে পাওয়া গেছে। তারপর তা দ্রুত বুরুন্ডি, সোন্ট্রাল অফ্রিকান রিপাবলিক, কেনিয়ার মতো দেশে ছড়িয়েছে।

গতবছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০ গুণ বেড়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা ১৯ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সতর্কতা

এপর্যন্ত ১৭ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পাঁচ শ' জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার আফ্রিকান সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল(আফ্রিকান সিডিসি) ও আফ্রিকান ইউনিয়ন হেলথ অথরিটি মাঙ্কিপক্সকে নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেয়। তারপর বিশ্ব স্বাস্থসংস্থাও একই ঘোষণা করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে। এই রোগের প্রাদুর্ভাব যাতে বন্ধ করা যায়, এই রোগ নিয়ে যাতে আরো গবেষণা হয় এবং আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য-খাতে যাতে আরো অর্থ দেয়া হয়, সেজন্যই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, এই রোগ থামাতে গেলে আন্তর্জাতিক স্তরে সচেতন হতে হবে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

প্রচুর ভ্যাকসিন দরকার

আফ্রিকান সিডিসি-র প্রধান জিন কাসেয়া মঙ্গলবার বলেছেন, আফ্রিকা মহাদেশের জন্য অবিলম্বে এক কোটি ভ্যাকসিন দরকার। তাদের কাছে দুই লাখ ভ্যাকসিন আছে। ।

তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এই ভাইরাস কতটা ছড়াচ্ছে, তার উপর নজর রাখছে।

২০২২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা প্রথমে মাঙ্কিপক্স নিয়ে আবিশ্ব জরুরি অবস্থা জারি করে। তখন ৭০টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়েছিল। তখন অবশ্য মাত্র এক শতাংশ মানুষ মারা গেছিলেন।

এবছর কঙ্গোয় এমপক্স আক্রান্তের মধ্যে ৭০ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে। মৃতদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই কমবয়সী।
সূত্র: ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement