এইচআইভি-ক্যান্সার প্রতিরোধে যুগান্তকারী উদ্ভাবন!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৪
এইচআইভি এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় সাফল্য অর্জন করেছেন মার্কিন গবেষকরা। এই পদ্ধতিতে মানবশরীরের বি সেলগুলোকে (এক ধরনের বিশেষ ইমিউন কোষ) রূপান্তর (প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘জিন-এডিটিং’ প্রযুক্তি) করে বিশেষ অ্যান্টিবডি তৈরি করা যেতে পারে। আর সেই বিশেষ অ্যান্টিবডিগুলো পরে এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সক্রিয় হবে।
এই যুগান্তকারী গবেষণার ফলাফল নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে কিভাবে এই ‘এডিটিং’ সম্ভব হয়। এমনকি, এ-ও জানা গিয়েছে যে এই নতুন পদ্ধতিটি অ্যালঝাইমার্স এবং আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের নিরাময়ও করতে সক্ষম। সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির কেক স্কুল অফ মেডিসিন ছাড়াও এই গবেষণার নেপথ্যে ছিলেন ইউএসসি স্টিভেন্স সেন্টারের গবেষকরা।
সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির কেক স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক, পওলা ক্যাননের ব্যাখ্যা–জিন এডিটিং পদ্ধতিতে মানবশরীরের বি সেলগুলোকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র যন্ত্রে রূপান্তর করা হয়, যাতে তা বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করে ক্যানসার ও এইচআইভি কোষগুলোকে মারতে পারে। তার কথায়, ‘'এইচআইভি যেমন প্রতিনিয়ত ‘মিউটেট’ করে। ফলে অ্যান্টিবডিগুলোর পক্ষে তাদের ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন আমরা ঠিক করলাম, যদি বি সেলগুলোকে কোনোভাবে শক্তিশালী অ্যান্টিবডিতে রূপান্তরিত করতে পারি, তাহলে আর এইচআইভি কোষগুলো মিউটেট করতে পারবে না।’'
এই গবেষণা পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক, গবেষক জিওফ্রে রজার্সের মন্তব্য, ‘আমরা এই অতি শক্তিশালী বি সেল-এর মাধ্যমে যে কোনও অ্যান্টিবডি সংক্রান্ত শারীরবৃত্তীয় কাজ করতে পারি। আমরা প্রয়োজনমতো এর আধুনিকীকরণও করতে পারি বলেই আমাদের বিশ্বাস।’
জানা গেছে, এই প্রযুক্তির ধারণা গবেষকদের এসেছিল ‘কার-টি সেল থেরাপি’ থেকে, যার সাহায্যে রক্তের ক্যান্সারের নিরাময় করা হয়। ‘কার-টি সেল’ আদপে হল ‘মডিফায়েড টি সেল’, আদপে বি সেল-এরই ‘সিস্টার সেল’। এই ধরনের লক্ষ লক্ষ কোষকে তার পর আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো হয়, যাতে তা সংশ্লিষ্ট রোগের সাথে লড়তে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, এই পদ্ধতিতে ‘সিআরআইএসপিআর’ জিন এডিটিং প্রযুক্তির প্রয়োগ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যবহার হয়েছে টনসিল কোষও।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন