ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পরও যে কারণে সাবধান হতে হবে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৬
দেশের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক। সাধারণ ভাইরাল জ্বরের সাথে ডেঙ্গুকে গুলিয়ে ফেলে অবহেলা করেই অনেক সময়ে রোগীর অবস্থা আরো গুরুতর হচ্ছে। শিশু থেকে বয়স্ক— বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুতে। গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটিও চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
সাধারণত জ্বর, মাথাযন্ত্রণা, হাত-পায়ের সাথে সারা শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মুখে অরুচি, মলের সাথে রক্তপাত— ডেঙ্গু রোগের অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অবশ্যই জরুরি।
ডেঙ্গু সেরে গেলেই যে আপনি সুস্থ, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। সেরে উঠে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ফের অসু্স্থ হয়ে পড়েছেন, এমন উদাহরণও কম নেই। তাই সেরে ওঠার পর রোগীর যত্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় চিকিৎসক সুর্বণ গোস্বামী। তার সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ‘ডেঙ্গুর জ্বর বেশি দিন থাকে না। ফলে জ্বর চলে যাওয়ার পরে অনেকেরই মনে হয় সুস্থ হয়ে গেছেন। কিন্তু আসল বিপদের শুরু হচ্ছে সেই সময় থেকেই। জ্বর কমে যাওয়ার ২-৭ দিন পর ডেঙ্গুর সঙ্কটজনক অবস্থা তৈরি হয়। তাই এই সময়টিতে অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে।’
‘অতিরিক্ত দুর্বলতা, বমি, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা— জ্বর কমে যাওয়ার পরও যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে, তাহলে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকলে মৃত্যু এড়ানো যাবে,’ বলেন ওই চিকিৎসক।
ডেঙ্গু কমে যাওয়ার পর আর কোন বিষয়গুলো মেনে চললে সঙ্কট এড়ানোর সম্ভাব!
১) জ্বর কমে যাওয়ার ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে বাড়তি নজরে রাখতে হবে। রোগীর নিজেরও খানিক সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো সমস্যা হলে তা চেপে না রেখে চিকিৎসককে জানাতে হবে।
২) ডেঙ্গু হলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। তাই পানির ঘাটতি কতটা কমেছে, সেটা মাপার জন্য দিনে ‘পিসিভি’ পরীক্ষা করা জরুরি। এ ছাড়াও প্লেটলেট পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। জ্বর চলে যাওয়ার ২-৩ দিন এই পরীক্ষাগুলো প্রতিদিন করাতে হবে।