২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

বত্রিশ.
‘আমি বলি কি তোমরা বরং আগে স্কুলেই যাও।’ রাফির বাবা বললেন, ‘মানে স্কুলে নয়, স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে। স্কুল চলাকালীন ছাত্র মিসিং এ ব্যাপারটা তাকেই আগে জানানো দরকার।’
‘তাছাড়া আজকে স্কুলে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে। আধা ঘণ্টা আগে স্কুলে ছুটি হয়ে গেছে।’ রাফি বলল।
‘কিসের এক্সিডেন্ট? কে এক্সিডেন্ট করেছে? সজীব?’ মায়ের গলা কাঁপতে লাগল।
‘উহু।’ রাফি দু’দিকে মাথা নাড়ল। ‘কাস টেনের কামাল ভাই। ওরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।’
‘আমি তাহলে প্রিন্সিপালের কাছেই যাচ্ছি।’ শাহেদা বেগম ওঠার উপক্রম করল।
‘দাঁড়ান ভাবী, আমিও আপনার সাথে আসছি। রাফি তুই যাবি নাকি?’
রাফি রেডি হয়ে নিলো।
রাতে এরকম দু’জন মহিলা গার্জেনকে দেখে প্রিন্সিপাল হকচকিয়ে গেলেন। কামালের এক্সিডেন্টের ব্যাপারে এসেছে ভাবলেন। কিন্তু কামালের বাবা-মায়ের সাথে তো কথা হয়েছে। আর ডাক্তাররা বলেছে কামাল তো আউট অব ডেনজার।
কিন্তু স্কুলের কাস থেকে সেভেনের ছাত্র সজীব মিসিং শুনে প্রিন্সিপাল আকাশ থেকে পড়লেন। এত বড় স্কুল, এত ছাত্রছাত্রী সবার তো আর খোঁজ রেখে পারা যায় না। তবুও তিনি গার্জিয়ানদের সাথে সমব্যথী হয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনাদের যদি মনে হয়ে থাকে সজীব স্কুলের কোথাও আছে তাহলে স্কুলে ঘুরে দেখতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
প্রিন্সিপাল নিজেই আছে নানান ঝামেলায়। স্কুল নিয়ে ফ্যাকড়া বেশ কিছু দিন ধরে চলছে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement