১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

রিও ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়

রিও ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয় -

দেশে ৫ জনের দেহে রিও ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা আরো জানিয়েছে, তাদের কারো অবস্থাই গুরুতর ছিল না। সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে।
আইইডিসিআর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আসা ৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় রিও ভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হয়। এর পর থেকে মিডিয়ায় রিও ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
রিও ভাইরাস কী?
রিও ভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস। রিও ভাইরাস রিও-ভাইরিডি গ্রুপের ভাইরাস। এই ভাইরাস গোত্রের মধ্যে পরিচিত একটি ভাইরাস হলো রোটা ভাইরাস। একে আমরা সবাই চিনি। রোটা ভাইরাস শিশুদের ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। রোটা ভাইরাসের মতোই একটি ভাইরাস হলো রিও ভাইরাস।
কারা বেশি আক্রান্ত হয়?
রিও ভাইরাসে সাধারণত শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া বয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারেন।
কিভাবে ছড়ায়?
রিও ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় সেটি নিয়ে বেশ আলোচনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত সঠিক কারণ জানা যায়নি। মনে করা হয় রিও ভাইরাস আক্রান্ত কোনো শিশুর মল পানি বা অন্য কোনো মাধ্যমে অন্য শিশুর মুখে গেলে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। এ ছাড়া যেহেতু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সর্দি কাশি থাকে তাই অনেকে মনে করেন হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।
রোগের লক্ষণ
রিও ভাইরাস, একটি ভাইরাস। কাজেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলো হয় তা অন্যান্য ভাইরাসের মতোই হয়ে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা হতে পারে। সেই সাথে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া। শিশুদের জ্বরের সাথে পুরো শরীরে দেখা দিতে পারে র্যা শ। সাধারণত ভাইরাস জ্বরের মতোই ৫-৭ দিন পর আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়।
চিকিৎসা
এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়। রোগীর জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল দিতে হয়। সর্দি-কাশির জন্য মন্টিলুকাস্ট অথবা ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন জাতীয় ওষুধ দেয়া যেতে পারে। ডায়রিয়া থাকলে শিশুকে ওরাল স্যালাইন খাওয়াতে হয়। শরীর ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল কাজ করে।
কতটা ভয়াবহ
রিও ভাইরাস কিন্তু এতটা ভয়াবহ না। অনেকেই অজ্ঞাতসারে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাদের শরীরে এ ভাইরাসের এন্টিবডি থাকে। তাই আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। ১৯৫৪ সালে প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্তের পর থেকে এত দিন পর্যন্ত যত ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তাদের খুব কমই মারাত্মক নিউমোনিয়া হয়েছে। খুব অল্পসংখ্যক ব্যক্তির মস্তিষ্কের প্রদাহ এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনকেফেলাইটিস বলা হয় ও মস্তিষ্কের পর্দার প্রদাহ যেটাকে মেনিনজাইটিস বলা হয় তা হতে পারে। তবে তা খুবই কম।
কতটা আতঙ্কের
এতক্ষণের আলোচনায় আমরা জেনেছি রিও ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কারণ এটা নরমাল ভাইরাসের মতোই একটা ব্যাপার। তার পরও যদি কোনো ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তা হলে দ্রুত হসপিটালে ভর্তি করাতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অগ্নি-প্রতিরোধ মহড়া ১৯ জানুয়ারি পাটগ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল দিল বিএসএফ ফায়ার সার্ভিসের ৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি আরো ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব কারাজীবনের অবসান, কাল মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর সীমান্ত ইস্যু এক দিনে সমাধান সম্ভব নয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত এনবিআরের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ : সংস্কার কমিশন গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার শরীয়তপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালালের লাশ উত্তোলন

সকল