এভারকেয়ার হসপিটালে ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩৬
ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এভারকেয়ার হসপিটালে ‘ট্রান্সফর্মিং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড হেমাটোলজি ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে এ আলোচনা সভা করা হয়।
এর আগে নার্স, ডাক্তারদের অংশগ্রহণে একটি র্যালি করা হয়। এ সময় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে রক্তের রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় হাসপাতালের হেমাটোলজি এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (বিএমটি) ইউনিট রক্তের ক্যান্সার ব্যবস্থাপনায় শ্রেষ্ঠত্বের এক দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। বিভাগটি ১ নভেম্বর ২০১৪ সালে চালু করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) হেমাটোলজি এবং বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘ব্লাড ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি মোকাবেলার সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। সময় মতো চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।’
এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার বলেন, ‘নিরলস সেবার মাধ্যমে আমাদের হেমাটোলজি এবং বিএমটি বিভাগ বাংলাদেশে রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এ অর্জন আমাদের সামনে আরো চ্যালেঞ্জ নেয়ার প্রেরণা হয়ে থাকবে।’
এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বিএমটি ইউনিটের এ যাত্রা বাংলাদেশে রোগীদের সেবা প্রদানে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আমরা প্রতিদিন রোগীদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, এভারকেয়ার হসপিটালের হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মেলোমা এবং সম্পর্কিত অন্য রোগ নির্ণয়ে সফলতা অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, এভারকেয়ার হসপিটালে রোগ নির্ণয়, স্টেজিং, কেমোথেরাপি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। রোগীদের জন্য সেরামানের সেবা নিশ্চিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। এভারকেয়ার হসপিটালে পজেটিভ প্রেশার ইউনিট (পিপিইউ), হেপা ফিল্টার, রিভার্স ওসমোসিস ওয়াটার সাপ্লাই এবং এয়ার মাইক্রোবিয়াল মনিটরের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়।
এছাড়া সেন্ট্রাল লাইনসহ (পিআইসিসি লাইন, হিকম্যান লাইন, পারমা ক্যাথ, কেমো পোর্ট) প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরণের উন্নত ইমিউনোথেরাপি ও কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়। হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বিভাগ থেকে টিপিই, লিউকাফেরেসিস ও প্লাটিলেটফেরেসিসসহ সব ধরণের ব্লাড প্রোডাক্ট ২৪ ঘণ্টা সরবরাহ করা হয়। এখানেই দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় প্লাজমা সেপারেটর চালু করা হয়েছে। স্টেম সেল প্রসেসিং এবং ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন সুবিধা আছে বলে জানান তিনি।
এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশ সামনে চিকিৎসাসেবায় বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার মান পরিবর্তন ও আরো উন্নত করতে সিএআর-টি সেল থেরাপি এবং জিন থেরাপিসহ উন্নত কিছু থেরাপি প্রবর্তনের পরিকল্পনা আছে। এর মাধ্যমে হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বিভাগটি বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান এভারকেয়ার হসপিটালের এ কর্মকতা।