২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অটিজমের জন্য GFCF ডায়েট

-

অটিজমের জন্য এঋঈঋ ডায়েট সম্পর্কে শুনে থাকতে পারেন- এই ডায়েটের প্রচলন বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ এটিকে একটি ফ্যাড (ঋধফ) ডায়েট বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ এর কার্যকারিতার উল্লেখ করেছেন। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায় তুলনামূলকভাবে সীমিত, সেখানে অটিজম শিশুদের ক্ষেত্রে এর উপকারিতা দেখানো হয়েছে। অনেক অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মা রিপোর্ট করেন যে, এটি আচরণ, ঘুম ও কথাবার্তায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।
গ্লুটেন-যুক্ত ও কেজিন-যুক্ত খাবার এঋঈঋ ডায়েট নামেও পরিচিত। এটি অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প চিকিৎসার মধ্যে একটি। এই কঠোর ডায়েট অনুসরণ করার সময় অটিজম শিশুদের প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণ থেকে গ্লুটেন প্রোটিন (গমের আটা, ময়দার তৈরি খাবার, বার্লিতে পাওয়া যায়) এবং কেজিন প্রোটিন (দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যে পাওয়া যায়) ধারণকারী সব খাবার বাদ দেয়া হয়। এই ডায়েটের পেছনে চিন্তা হলো যে, এটি দু’টি প্রোটিন গ্লুটেন ও কেজিন যুক্ত খাবার বাদ দেয়া যা অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের বিশেষভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। এই প্রোটিনগুলো হজম করা কঠিন এবং গ্লুটেনের ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে অন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। যখন অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন প্রোটিনের ছোট অংশ রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে, যা অটিজম শিশুদের সাথে আমরা প্রায়ই দেখতে পাই।
দেখে নেয়া যাক গ্লুটেন-যুক্ত এবং কেজিন-যুক্ত ডয়েটে আপনার শিশু কী খাবার উপভোগ করতে পারে :
চাল, লাল চাল, মুড়ি, চিঁড়া, সাগু, চালের আটা- সব ধরনের ডাল, ছোলা, বাদাম, কাঠবাদাম দুধ, নারকেল দুধ, কাজু দুধ, চালের দুধ, ওটস দুধ সব ধরনের শাক ও সবজি, সব ধরনের মৌসুমি ফল, মাছ, মুরগি, সামুদ্রিক মাছ, কবুতর, ডিম, পানি, লেবুর পানি, ডাবের পানি, অল্প পরিমাণে গরুর গোশত, কলিজা, মগজ, হাসি, ঘি, লবণ
খাওয়া নিষেধ : গমের আটা, ময়দার তৈরি খাবার, বার্লি, সুজি, সেমাই, ওটস, সয়া ও সয়া জাতীয় খাবার। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার, পনির, কোমল পানীয়। চিনি, বিস্কুট, চানাচুর, কেক, সসেজ, জেলি, চকোলেট, তেলের ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার। অটিজম শিশুদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাবার পরিমিত পরিমাণে হওয়া উচিত। তা ছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন-বি ১২, সি, ক্যালসিয়াম, জিংক খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
লেখক : ক্লিনিক্যাল পুষ্টি ও পথ্যবিদ, ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণপুর।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল : ফখরুল নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় এক শিশু নিহত ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা রাশিয়ার রংপুরে ৩ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন সকলের সামাজিক দায়িত্ব : উপদেষ্টা ৪টি সংস্কার করলেই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে পারবে : মোস্তাফিজার রহমান গৌরনদীর সাবেক মেয়রকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় পাকিস্তান ডেঙ্গুতে আরো ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৪

সকল