মুগদা মেডিক্যালে প্রথমবার কৃত্রিম পায়ুপথ তৈরির সফল অপারেশন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩২, আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৪
মুগদা মেডিক্যালে প্রথমবার শান্তামনি (৪) নামে এক শিশুর কৃত্রিম পায়ুপথ তৈরির অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ চার মাস ফলোআপ করে আজ বুধবার এ অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, শান্তামনির বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ী চরাঞ্চলে। জন্মগতভাবে তার পায়ুপথ ছিল না । তিন দিন বয়সেই ঢাকা শিশু হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে পেট ফুটো করে সাময়িকভাবে তার কৃত্রিম পায়ুপথ তৈরি করা হয়েছিল।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, গত মে মাসে বাঁশগাড়ীতে একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করলে শান্তামনির সাথে তাদের পরিচয় হয়।
তিনি জানান, অফিসার্স ফোরাম রায়পুরা নরসিংদীর সদস্যরা মোট খরচের ৫০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দিয়ে শান্তামনির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি আরো জানান, আমরাও আমাদের প্রচেষ্টা শুরু করি। যদিও দু’সিটিংয়ের এ অপারেশন অত্যন্ত জটিল, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল। আমরা দরিদ্র শান্তামনির আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণ দু’সিটিংয়ের জটিল এ অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেই।
অস্ত্রোপচার টিমে শিশু সার্জন হিসেবে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. আসাদুর রহমান, শিশু মেডিসিনের সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে মেডিসিনবিষয়ক চিকিৎসায় ছিলেন ডা. ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী।
কৃত্রিমভাবে তৈরি পেটের স্টোমা বন্ধ করে প্রকৃত পায়ুপথের স্থানে নতুন পায়ুপথ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, কোনো জটিলতা ছাড়াই শান্তামনি এখন পায়খানা করতে পারছে।
উল্লেখ্য, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আসাদুর রহমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মিজানুর রহমানের দীর্ঘ চার মাসের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ও শৈল্য চিকিৎসায় শান্তামনি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করবে।