২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লড়াইটা রোনালদো-এমবাপ্পেরও

লড়াইটা রোনালদো-এমবাপ্পেরও - ছবি: সংগৃহীত

আজই কি শেষ বারের মতো ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে ফেলেবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো? আগের ম্যাচে দ্বিতীয় রাউন্ডে স্লোভেনিয়া বাধা টপকানোর পর এই পর্তুগীজ তারকার ঘোষণা ছিল, এটাই তার শেষ ইউরো।’

সেই সমাপ্তি রেখাটা আজই টানা হতে পারে তার জন্য যদি পর্তুগাল হেরে যায় ফ্রান্সের কাছে। জার্মানীর হার্মবুর্গে এই দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

ইউরোর সাবেক এই দুই চ্যাম্পিয়নের সেমিতে উঠার লড়াইয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোনালদো এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের মধ্যেও। ম্যাচে এই দুই মহা তারকার দিকেই থাকবে স্পট লাইট। দুই জনেরই কাতার বিশ্বকাপের যন্ত্রণা ভুলার মিশন। উভয় দলে আরো অনেক তারকা থাকলেও সবার নজরই থাকবে এই দুই জনের দিকে।

এবারের ইউরোতে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি রোনালদো এবং এমবাপ্পে। দল শেষ আটে উঠলেও এখন পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি সৌদি ক্লাব আল নাসরে খেলা ফরোয়ার্ডটি। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে তো পেনাল্টি মিস করে দলকে ভীষণ বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। গোলও মিস করেছেন বেশ কয়েকটি। এরপর শিশুর মতো কান্না আর টাইব্রেকারে ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করে আনন্দের বদলে দর্শকদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়া। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার বীরত্বে দ্বিতীয় রাউন্ড টপকানো ২০১৬ চ্যাম্পিয়নদের। তিনটি টাইব্রেকার শটই রুখে দেন কস্তা। এরপর তিনি হয়ে গেছেন ম্যাচ জয়ী নায়ক।

ইনজুরির জন্য সব ম্যাচ খেলা হয়নি কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পের। মুখে মাস্ক পরে খেলতে হচ্ছে তাকে। এই আসরে তার একটি গোল পোল্যান্ডের বিপক্ষে। যদিও সেই ম্যাচে জেতা হয়নি তার দলের। ১-১ গোলে ড্র করে ১৯৮৪ ও ২০০০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।

ফ্রান্স অবশ্য কোনো ম্যাচে না হেরে এবং চার ম্যাচের তিনটিতে ক্লিনশিটে (কোনো গোল না খেয়ে) শেষ করেছে। যদিও তাদের দুই জয় আত্মঘাতী গোলে। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রিয়া এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়ামের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের নিজ জালে পাঠানো গোলে জিততে হয়েছিল। এমনকি গ্রুপ সেরা হয়েও নক আউটে আসতে পারেনি। ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়েই তাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে আসা।

পর্তুগাল অবশ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউটে উঠে। তবে গ্রুপের শেষ খেলায় তাদের ০-২ গোলে হারতে হয় জর্জিয়ার কাছে। এছাড়া চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়। একেবারে সহজে তুরস্ককে ৩-০ তে উড়িয়ে দেয় তারা। এরপর দ্বিতীয় রাউণ্ডে গোলশূন্যতে ১২০ মিনিট শেষ হওয়ার পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৩-০ তে স্লোভেনিয়াকে হারানো।

পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ বলেন, আমাদের এখন সব দৃষ্টিই ফ্রান্সের ম্যাচকে ঘিরে। অবশ্যই ফরাসীরা শক্তিশালী দল। তবে তাদের রক্ষণভাগে সমস্যা আছে। সেই দুর্বলতা কাজে লাগিয়েই আমরা সুযোগ তৈরি করতে চাই। এই ম্যাচের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত ম্যাচে আমরা পেনাল্টিতে জিতে এসেছি।’

ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশাম জানান, আমাদের দলে মেধা এবং মানসম্পন্ন ফুটবলারে ঠাঁসা। অন্য দলগুলোতেও কোয়ালিটি ফুটবলারের অভাব নেই। সুতরাং জিততে হলে কঠোর পরিশ্রমই করতে হবে। এই ধরনের উচুঁ পর্যায়ের ম্যাচে পুরো টিম ওয়ার্কই দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement