মাঠের সাথে রয়েছে স্পন্সর সঙ্কটও
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৫
অনুপযুক্ত মাঠ সত্বেও চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপের খেলা। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে কুমিল্লা স্টেডিয়াম, গাজীপুর স্টেডিয়াম এবং মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামের মাঠ। তবে এখনো শুরু হয়নি মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির খেলা শুরু করা সংক্রান্ত কার্যক্রম। বিভিন্ন ক্লাবের কাছে তাদের দাবি-দাওয়া চাওয়া হয়েছে। ব্যাস ওই পর্যন্তই। তবে চাইলেই এই মুহূর্তে সিনিয়র ডিভিশন , দ্বিতীয় বিভাগ বা তৃতীয় বিভাগ লিগ শুরু করতে পারছে না লিগ কমিটি। নেপথ্যে দু’ সমস্যা। এক. মাঠ সঙ্কট। দুই. স্পন্সর।
তাবিথ আওয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি হওয়ার পর বিভিন্ন কমিটিকে বলে দিয়েছেন যার যার লিগ বা টুর্নামেন্টের স্পন্সর সংশ্লিষ্ট কমিটিকেই যোগাড় করতে হবে। ফলে এখন সংশ্লিষ্ট কমিটিকেই পৃষ্ঠপোষক যোগাড় করার চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
‘স্পন্সর ঠিক হয়ে যাবে।’ সে বিষয়ে আশাবাদ মহানগরী লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদ আরেফের। তবে মূল সমস্যা বাধিয়েছে মাঠ। সিনিয়র ডিভিশন থেকে তৃতীয় বিভাগ এবং পাইওনিয়ার লিগের অন্যতম ভেন্যু কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের টার্ফ আরো আগেই অনুপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এখন সেই টার্ফের সংস্কার কাজ চলছে। পুরনো টার্ফ তুলে সেখানে নতুন টার্ফ বসানোর কাজ চলছে। এতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে কমলাপুরের টার্ফ ফুটবল উপযোগী হতে। তাই এই টার্ফের কাজ এখন মহানগরীর লিগ শুরুর অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আরেফও বললেন, ‘মাঠই আমাদের প্রধান বাধা। মাঠইতো রেডি নেই। মাঠ পেয়ে গেলে স্পন্সর কোনো সমস্যা হবে না।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলতে পারলেন না মার্চে রোজার আগে লিগ মাঠ গড়ানো যাবে কিনা।
অবশ্য বাফুফের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাঠ নয় আসলে বাধা হলো স্পন্সর। স্পন্সর হলেতো ধুপখোলা মাঠেও লিগ করা যাবে।
শুধু মহানগরীর লিগই নয়। কোন মাঠে হবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) সেটিও চুড়ান্ত হয়নি। আগামী মাসে এই লিগ শুরু হওয়ার কথা। অতীতে এই লিগের ভেন্যু ছিল কমলাপুর স্টেডিয়াম। এখন সেখানে যে সংস্কার কাজ।
এদিকে এখন পর্যন্ত পাইওনিয়ার লিগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিরই করতে পারেননি কমিটির চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। গত বছর এই লিগ হয়নি। টিপু অবশ্য মাঝে বেশ কিছু দিন ছিলেন দেশের বাইরে।
ফুটবলার তৈরি এবং তাদের বিকশিত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই বিসিএল ও সিনিয়র ডিভিশন লিগ। বিসিএলে অবশ্য ক্লাব লাইসেন্সিং চলছে। এবার বিআরটিসি এবং সিটি ক্লাবসহ ১৪টি ক্লাব আগ্রহ দেখিয়েছে বিসিএলে খেলতে। শেষ পর্যন্ত কয়টি ক্লাব লাইসেন্স পায় তা চুড়ান্ত হওয়ার পর দলবদলের তারিখ হবে।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা এই বিসিএলের। যদিও এই বিষয়ে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসানকে।
এই লিগ গুলোর মধ্যে বিসিএল সেমি প্রফেশনাল। অপেশাদারী পর্যায়ের সিনিয়র ডিভিশন, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ লিগ। আর পাইওনিয়ার লিগ এখন অনূর্ধ্ব-১৫ বয়স শ্রেণির জন্যও।
পুরুষ বিভাগের এই লিগ গুলোর মতো মাঠ সঙ্কটে আছে মহিলা লিগও। এমনটা জানিয়েছেন বাফুফের মহিলা উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরনও।
পাইওনিয়ার লিগ অবশ্য বিভিন্ন মাঠে আয়োজন করা হয়। সারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মাঠ এবং নারায়ণগঞ্জের মাঠে অতীতে হয়েছে এই লিগ। এই মাঠ গুলো মানসম্পন্ন থাকে না। তবে বিসিএল এবং সিনিয়র ডিভিশনের লিগের জন্য উন্নত মাঠের বিকল্প নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা