২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সরেই দাঁড়ালেন তরফদার

তরফদার রুহুল আমিন - ছবি : সংগৃহীত

শেষ পর্যন্ত বাফুফের এবারের নির্বাচনে অংশই নিচ্ছেন না আলোচিত সমালোচিত প্রার্থী তরফদার রুহুল আমিন। রোববার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। দুপুরেই প্রতিনিধি পাঠিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন সাইফ পাওয়ারটেকেরই কর্ণধার। অবশ্য প্রথমে ভুল করেন তিনি। তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের চিঠি দেয়ার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনার বরাবর। কিন্তু তিনি চিঠি পাঠান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বরাবর। যা গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরে তরফদারকে চিঠি সংশোধনের সময় দেয়া হয়। এই আবেদন পত্র সংশোধন করে পাঠানোর পর তা গ্রহণযোগ্য হয়। তার এই প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ফলে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন ইমরুল হাসান। এখন সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সদস্য পদেই নির্বাচন হবে ২৬ অক্টোবর। সভাপতি পদে তাবিথ আওয়ালের প্রতিপক্ষ এএফএম মিজানুর রহমান চৌধুরী। এতে বাফুফের দুই বারের সাবেক সহসভাপতি তাবিথ আওয়ালেরই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ যোগ্যতা এবং দক্ষতায় তাবিথের ধারে কাছেও নেই দিনাজপুরের এই ফুটবল সংগঠকের।

জানা গেছে, তরফদার বুঝেই গেছেন তার পক্ষে এবারের নির্বাচনে পাশ করা সম্ভব নয় ইমরুল হাসানের বিপক্ষে। কারণ নিজ গুণে জনপ্রিয়তার তরফদারের চেয়ে এগিয়ে গেছেন ইমরুল। তাই ভোটের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার চেয়ে সরে যাওয়াই ভালো মনে করেছেন তরফদার রুহুল আমিন। এর আগে তিনি সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েও পরে আর ওই পদে মনোনয়ন পত্র কেনেননি। এখানেও তার অনুধাবন তাবিথের সাথে ভোটের লড়াইয়ে জেতা হবে না। ২০২০ সালের নির্বাচনেও তরফদার সভাপতি পদে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও পরে আর মনোনয়ন পত্রও ক্রয় করার সাহস পাননি। এতে করে ফুটবল অঙ্গনে অবস্থানটা দুর্বলই হয়ে গেল এই ফুটবল সংগঠকের। বলতে গেলে নিজেকে হাস্যকর অবস্থানেই নিয়ে গেছেন।

যদিও রোববার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন তরফদার। এ গুলো হলো এক, আইন না মেনে ডেলিগেট ফরম সরাসরি হাতে হাতে প্রেরণ। দুই, ফিফা ও বাফুফের নিষিদ্ধ আবু নাইম সোহাগের নির্বাচন বিধিমালা প্রকাশ ও বিতরণ। তিন, প্রশ্ন বিদ্ধ নির্বাচন কমিশন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে একই ব্যক্তিকে পরপর পাঁচ বার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া। চার, নির্বাচন আয়োজনে স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে না পারা। পাঁচ, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অভিযোগতো আরো আগেই করে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে পারতেন তরফদার।। কিছু কিছু কাউন্সিলর এই নিয়ে বাফুফেতে লিখিত প্রতিবাদ করে দুই একটি ক্ষেত্রে সফলও হয়েছেন। এখন শেষ সময়ে এসে কেন এই ভূমিকা নেয়া তার ।

আজ তরফদারের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের আগে ও পরে কিছু ব্যক্তির বাফুফে ভবনে এসে কাজী সালাহউদ্দিন বিরোধী মানববন্ধন এবং মিছিল অন্য রকম ইঙ্গিতই দেয়।

আজ নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের ব্যালট নম্বরও প্রকাশ করেছে। এতে সভাপতি পদে তাবিথ আওয়াল ২ এবং মিজানুর রহমান ১ নাম্বার ব্যালট পেয়েছেন। ৪ পদের জন্য ছয় সহসভাপতির মধ্যে ফাহাদ করিম ১, মো: ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী ২, মো: নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ৩, শফিকুল ইসলাম মানিক ৪, সাব্বির আহমেদ আরেফ ৫ এবং সৈয়দ রুম্মান কিবন ওয়ালী সাব্বির ৬ নাম্বার ব্যালট পেয়েছেন।

১৫ পদের সদস্যের জন্য ৩৯ প্রার্থী। এতে চারজন মহিলা প্রাথী। এদের মধ্যে তাসলিমা রেজোয়ানা ১১, মাহফুজা আক্তার কিরন ১৫, মাহমুদা খাতুন অদিতি ১৬ এবং রওশন আক্তার হায়দার ডেইজী জাফর ৩৩ নম্বর ব্যালট পেয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement