১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
বিএনপির সাথে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরো নিবিড় ও সূদৃঢ় হবে

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বক্তব্য রাখছেন চীনের রাষ্ট্রদূত : নয়া দিগন্ত -


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বৈঠক করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এরই মধ্যে বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের সমন্বয়কারী ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক করেন। গতকালে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীর বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসে আসাটা আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি চীনের যে কমিটমেন্ট, তাদের প্রতিশ্রুতি ডেভেলমেন্টে এবং একই সাথে তারা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তারা (চীন) আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি চীন আগেও দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে। একই সাথে চীন সারা বিশ্বে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেটারও আমরা প্রশংসা করছি। বিশেষ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীন যেভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছে সেটার জন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।

চীনের রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (চীন) মনে করেন যে, বিএনপির সাথে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে এবং বাংলাদেশে চীনের যে বিনিয়োগ জনগণের উন্নয়নের জন্য, দেশের উন্নয়নের সেটা আরো বাড়বে। আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, চীনের সাথে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর হবে। চীনের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্ক গভীর থেকে গভীর হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ওয়ান চায়না পলিসিতে বিএনপি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছে, আমরা এখনো সেই ঘোষণাটা আরো দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আমরা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা এবং পর্যালোচনা করেছি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপি একসাথে কাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে আমরা আজকে আলোচনাও করেছি। এই সম্পর্ককে আরো নিবিড় ও সুদৃঢ় করে আমরা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ততার কথাও বলেন রাষ্ট্রদূত।


আরো সংবাদ



premium cement
কাঁচপুরে ছয় হাজার স্কয়ার ফুটের ক্যালিগ্রাফিতে ঐক্যের ডাক ‘মহানবী সা: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন : আল্লামা আবদুল হাই নদভী এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরে ভোটার তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে ডিআরইউর সাবেক সভাপতি আজমল খাদেমের ইন্তেকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আহ্বান সময়োপযোগী : জাতীয় আইনজীবী সমিতি ১৫ বছর আমার কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছিল : মনির খান অরুণা ও রোকেয়া প্রাচীর বিরুদ্ধে মামলা এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার কাল থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন কাঞ্চন সেতুতে নিয়মবহির্ভূতভাবে টোল আদায়ের অভিযোগ ঈশ্বরদীতে রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে মাদরাসার টাকা আত্মসাৎ

সকল