২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

টানাবর্ষণে তলিয়ে গেছে ৭ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল

নোয়াখালীতে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা : নয়া দিগন্ত -

- নোয়াখালী ও নাঙ্গলকোটে ৬০ লাখ লোক পানিবন্দী
- চট্টগ্রামের অলিগলি ও বাসাবাড়িতে পানি
- কুশিয়ারা, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

লঘুচাপ সুস্পষ্ট হওয়ায় ভারীবর্ষণ তীব্র হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা ও প্রবল বৃষ্টিপাতের সাথে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি ও মৌলভীবাজার নিম্নাঞ্চল, রাস্তা, অলিগলি, বীজতলা তলিয়ে গেছে। বরগুনা ঝালকাঠির নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমন ধানের চারা নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে পুকুর ও চাষকরা প্রজেক্টের মাছ। এ দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলাসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কুশিয়ারা, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। মানুষ অভুক্ত থাকছে রান্না করতে না পেরে। আবহাওয়া অফিস বলেছে, ভারীবর্ষণ আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণের সাথে জোয়ারের পানি একাকার হয়ে আবারো ডুবল বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গত সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। একই সাথে বুধবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে। গত দুই দিন ধরে নগরীর সড়ক-অলি-গলি পানি নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় মানুষের বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।

গত রোববার রাত থেকেই লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। যা অব্যাহত থাকে এবং সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালেও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী বর্ষণের পাশাপাশি একই সময়ে জোয়ার থাকায় নগরীর বিস্তীর্ণ সড়ক অলিগলি, বাজার, বিভিন্ন বাসাবাড়ির নিচতলা এবং বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান পানি নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এ সময় কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি মাড়িয়েই অফিসগামী মানুষকে বিশেষ করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পথ চলতে হয়েছে চরম ভোগান্তি সঙ্গী করে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর কারণেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। আরো দুই দিন এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ দিকে ভারী বৃষ্টিতে নগরীর কাপাসগোলা, বাদুরতলা, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, ইপিজেড, সল্টগোলা, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকা, জিইসি, পাহাড়তলী, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাকলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা, ডিসি রোড, সিরাজউদ্দৌলা সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সড়ক-অলি-গলি পানি নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এ সময় নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার এবং দোকানপাট পানি নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, গত ১৫ দিনের টানা ও থেমে থেমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে আছে লক্ষ্মীপুরের অধিকাংশ আমনের বীজতলা। এতে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকায় পানিতে ডুবে পচে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের এসব বীজতলার আমনের চারা গাছ (জালা)। এতে চলতি মৌসুমে আমন ধানের আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়ায় হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা। তা ছাড়া জমি থেকে বৃষ্টির পানি না সরায় ক্ষতিরগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের আগাম আবাদকৃত রোপা আমন ও আউশের ক্ষেত। তবে এ ক্ষতি আমন আবাদে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি কৃষি বিভাগের। স্বল্প সময়ে উন্নত জাতের বীজতলা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় আমনের রোপণের উপযোগী চারা পাওয়া সম্ভব বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে টানা পাঁচ দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অবিরাম বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে মানুষজনকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে ভেসে গেছে পুকুর ও মৎস্য প্রজেক্টের মাছ। বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে পানি উঠায় রান্না করতে না পারায় পানিবন্দী লোকজনকে অভুক্ত থাকতে হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতিয়া নদীর পরিকোট অংশে একটি স্টিল সেতুর ওপর আরেকটি সেতু নির্মাণ, মাছ ধরার জন্য নদীতে বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ, অপরিকল্পিত মৎস্য প্রজেক্ট এবং রাস্তার কালভার্ট বন্ধ করে নতুন বাড়িঘর তৈরি করার ফলে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ।
বামনা (বরগুনা) সংবাদদাতা জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও অতি জোয়ারে বরগুনা বামনা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকের প্রায় ৭৫০ হেক্টর আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। এতে এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমন বীজতলা নষ্টের শঙ্কায় হতাশায় রয়েছেন কৃষক। খাল ভরাট, অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট, যত্রতত্র অপরিকল্পিত কালভার্টসহ বিভিন্ন কারণে ফসলের মাঠের অতিরিক্ত পানি যেতে না পারার কারণেই জমিতে জলাবদ্ধতা হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলার কৃষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব যেতে না যেতেই গত আষাঢ় থেকে ২-৩ দফা বীজতলা করেও ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কারণে ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে থাকার কারণে বাঁচাতে পারেনি বীজতলা (ধানের চারা)। বেশির ভাগই বীজতলা পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা জানান, গত কয়েক দিন টানা ভারী বর্ষণ ও অতি জোয়ারে কাঁঠালিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কৃষকের শত শত হেক্টর আমন বীজতলা তলিয়ে রয়েছে জলাবদ্ধতায়। জলাবদ্ধতার কারণে এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমন বীজতলা নষ্টের শঙ্কায় হতাশায় রয়েছেন কৃষক।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গেল আষাঢ় থেকে ২-৩ দফা বীজতলা করেও ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কারণে ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে থাকার কারণে বাঁচাতে পারেনি বীজতলা। বেশির ভাগই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সবশেষে শ্রাবণের শেষের দিকে বীজতলা করেও তা গত কয়েক দিন টানাবর্ষণ ও অতি জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তাও বাঁচানো যাবে কি না শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। এ দিকে আমন বীজতলা করার আর এখন সময়ও তেমন নেই এবং কৃষকের কাছে বীজতলা করার মতো কোনো বীজধানও নেই।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের ঢলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী নদীবেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার ৪টি নদী নদীতে আবারো বেড়েছে পানি। জেলার কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদী মঙ্গলবার আবারো পানি বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিয়মিত বুলেটিনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সাগরের লঘু চাপের প্রভাব ও ভারতের অতি বৃষ্টির ঢলে পানি বেড়েছে। এ দিকে শরৎ মৌসুমে আরেক ধাপে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ আবারো দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদে বিপদসীমার প্রায় দুই মিটার ওপর ও ধলাই নদীর বিপদসীমার ২৪ সেমি. ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা জানান, দুই দিনের ভারী বর্ষণে কুলাউড়া উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। শহরের মূল সড়কে হাঁটুপানি। হাসপাতাল সড়কে হাঁটুপানি। উপজেলা পরিষদের রাস্তায় হাঁটুপানি এর মধ্যে গোগালীছড়ায় বাঁধ ভেঙে সদর ইউনিয়নের বাগাজুরা, হরিপুর প্লাবিত হয়। আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাকালুকি হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় পানি উঠায় উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

নোয়াখালীতে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে পানিবন্দী ২০ লাখ মানুষ
নোয়াখালী অফিস জানায়, টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় জেলাজুড়ে বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে আছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
জেলার সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশির ভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা, শাকসবজি। এ ছাড়া মাঠে পানি বেশি থাকায় অনেক এলাকার কৃষক খেতে আমন লাগাতে পারছেন না। জলাবদ্ধতায় আটকে আছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। আবহাওয়া অফিস বলছে, গত সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। জেলাজুড়ে জলবদ্ধতার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টির পানিতে ময়লা মিশে দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ। এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসন ও ধনীদের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, লঘুচাপের প্রভাবে চার দিনের টানা বর্ষণে ফের খাগড়াছড়ি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। প্রথম দিকে কম থাকেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, রুইখই চৌধুরীপাড়া, মেহেদীবাগ, শান্তিনগর, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, দীঘিনালার কমলছড়ি ও মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী কয়েক শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক শত একর ফসলি জমি। এ দিকে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। সকালে জেলা সদরের শালবনে পাহাড় ধসে সড়কের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে।

 


আরো সংবাদ



premium cement