২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শঙ্কা

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে বিলম্ব
-


সরকার গঠনে বিলম্বের কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন গতকাল সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার গঠনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু দৃশ্যমান না হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে সম্মত হয়েছেন। তিনি প্যারিস থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় গতকাল প্রধান উপদেষ্টার নাম ঘোষণা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করে উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার কথা।
এদিকে সরকার গঠনে এই বিলম্বের কারণে দেশের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরানো যাচ্ছে না। নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাজধানী ঢাকায় কোনো পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে প্রকাশ্য দেখা যাচ্ছে না। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হতে পারে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত সরকার গঠন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আহবান জানিয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভেঙে পড়েছে পুলিশের নেটওয়ার্ক। সিনিয়র কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় তছনছ পুলিশের চেইন অব কমান্ড। থানা, ফাঁড়ি, ব্যারাকসহ পুলিশের সকল স্থাপনায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের কারণে থানা ছেড়ে পুলিশ যে যেভাবে পেরেছে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। আর পুলিশের অনুপস্থিতিতে কিছু দুর্বৃত্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন স্থানে লুটপাট-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে নির্বিঘেœ। এতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এই অবস্থায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ননক্যাডার পুলিশদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। এতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি থেকে পুলিশকে কাজে ফেরানোর চেষ্টা করছেন সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের একাংশ। গতকাল মঙ্গলবার পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের পুলিশ অফিসার্স মেসের সামনে যৌথ সভা করেন তারা। সেখানে অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহীদুর রহমানকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ দিকে সোমবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে হেলিকপ্টারযোগে পালিয়ে যাওয়া আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে গোপন স্থান থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি পুলিশ সদস্যদের ধৈর্যসহকারে পুলিশি স্থাপনার নিরাপত্তার আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদসহ কয়েকজন। হারুনকে পালানোর সময় বিমানবন্দর থেকে আটক করে সেনানিবাসে নেয়া হয়েছে বলেও খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ডিআইজি মেহেদি, অ্যাডিশনাল ডিআইজি সুদ্বীপ, প্রলয় এরা কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছেন না। ধারণা করা হচ্ছে এরা পালিয়ে গেছেন।

সারা দেশে ৪৫০টির বেশি থানা ও ৭০টি স্থাপনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। জনরোষে প্রাণহানি হয়েছে বড় সংখ্যক পুলিশ সদস্যের। তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি। লুট হয়েছে অনেক অস্ত্র।
এ দিকে আতঙ্কের কারণে পুলিশ সদস্যরা থানা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা। কিছু অপরাধী এই সুযোগে মানুষের বাসাবাড়িতে হামলা লুটপাট চালাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় ছিনতাই করছে দুর্বৃত্তরা। সরকারি স্থাপনা, এমনকি সংসদ ভবনেরও মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, যেখানে থানায় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে সেখানে পুলিশ কিভাবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিবে? পুলিশ জানায়, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব, ভাটারা, বাড্ডা, ভাটারা, রামপুরা, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, পল্টন, মতিঝিল, মোহাম্মদপুর, আবাদবর, দারুসসালাম, মিরপুর, পল্লবী, রূপনগর, খিলক্ষেত, শ্যামপুর, কদমতলী, কোতয়ালি, লালবাগ, হাজারীবাগ, হাতিরঝিল, ধানমন্ডিসহ বেশির ভাগ থানায় আগুন দেয়া হয়েছে। থানার ভেতরে রাখা আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, এমনকি দরজা জানালা পর্যন্ত লুট হয়ে গেছে। থানায় পুলিশের গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন থানায় এরকম ঘটনা ঘটেছে। মুগদা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ওই থানায় দেড় শ’র মতো মোটরসাইকেল রাখা ছিল। এগুলো জব্দকৃত মালামাল, কিংবা মামলার আলামত। সব মোটরসাইকেল সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে।

এ দিকে পুলিশ না থাকায় রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। সাবেক এক প্রতিমন্ত্রীর ধামরাইয়ের এক প্রজেক্টে আড়াই শ’ গরু, দু’শোর মতো ছাগল এবং ৮০টি হরিণ ছিল। রাতভর একদল দুর্বৃত্ত ওই গরু-ছাগল ও হরিণ লুট করেছে। হরিণগুলোকে ধাওয়া করে ধরে প্রজেক্টের ভেতরেই জবাই করে গোশত নিয়ে গেছে তারা। ভোর হওয়ার পর ওই প্রজেক্টের স্থাপনাগুলোর দরজা-জানালা পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। ওখানে যেসব কর্মচারী ছিলেন তাদের জামা-লুঙ্গি পর্যন্ত লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সেখানে একটি মাদরাসা ছিল। সেই মাদরাসার মালামালও লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওই প্রজেক্টের এক কর্মচারী বলেছেন, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা প্রজেক্টে লুটপাট করেছে। কিন্তু কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি। ১০টা পর্যন্ত প্রজেক্টের কোনো কর্মচারীকে দুর্বৃত্তরা কিছু বলেনি। লুটপাট শেষে দুর্বৃত্তরা কর্মচারীদেরকে মেরে প্রজেক্ট থেকে বের করে দেয়।
দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউএর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এমনকি, সংসদ ভবনের মালামাল পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে গেছে। সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। স্টাফকোয়ার্টার এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাতভর ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পথচারী যাকে পেয়েছে তাকেই আটকে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এয়ারপোর্ট এলাকার এক বাসিন্দা বলেছেন, তিনি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চেক করতে দেখেছেন। যারা গাড়ি চেক করছে তাদের দেখে দুর্বৃত্তই মনে হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে দেখা যায় ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকার একটি মদের বারে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।

ঢাকার বাইরেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় এক কাউন্সিলর সোমবার রাতে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে মারধর করেন এবং তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে এসেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন চরম অনিরাপদ হয়ে উঠবে।
রাজধানীর থানায় নেই পুলিশ, আছে শুধু ধ্বংসস্তূপ : রাজধানীর অধিকাংশ থানাই এখন অরক্ষিত। থানায় থানায় পড়ে আছে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপ। নেই কোনো পুলিশ সদস্য। জানা গেছে, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থানায় থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ২০টি থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হতাহত হয়েছেন বিপুল পুলিশ ও সাধারণ মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন থানা ঘুরে ধ্বংসস্তূপ দেখা যায়। যাত্রাবাড়ী গিয়ে দেখা যায়, থানা ভবনের সামনে আগুনে পোড়া গাড়ির সারি। ভবনে ঢুকে চোখে পড়ল ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। নথিপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। থানা থেকে লুটপাট করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা জিনিসপত্র। এ ঘটনার পর থেকে সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য চোখে পড়েনি। সকালে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে ভবনের ভেতরে পোড়া স্থান ও সামনে পোড়া সারি সারি গাড়িতে পানি ছিটাচ্ছিল। এ সময় থানার ভেতরে পড়ে থানা কয়েকটি লাশ সরিয়ে নেয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। লাশগুলো আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। লাশগুলোর মধ্যে দুজনের পুলিশের পোশাক এবং আরেকটি লাশের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিক্ষুব্ধ জনতা সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এ সময় পুলিশও প্রাণ রক্ষায় এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে বেশ কয়েকজন হামলাকারী নিহত হন। একই সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন থানায় ঢুকে ভবনের ভেতরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। অগ্নিসংযোগ করে ভবনের ভেতরে। এ সময় থানায় অবস্থান করা পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান। আবার কেউ কেউ ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা যান।
শুধু যাত্রাবাড়ী নয়, ওয়ারী, বাড্ডা, ভাটারা, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মিরপুরসহ কয়েকটি থানায় গিয়ে প্রায় একই অবস্থা দেখা গেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো: ফারুক হোসেন বলেন, বেশির ভাগ থানা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুটপাট করা হয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে?
মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে জানা যায়, সোমবার সারা দিন থানা ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। বিকেলের দিকে ব্যাপক গুলির শব্দ হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ থানা ছেড়ে যায়। এরপরই বিক্ষুব্ধরা থানায় ঢুকে লুটপাট চালায়।
উপকমিশনারের কার্যালয় ভাঙচুর : শেরেবাংলানগরের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উল্টো দিকে খিলজি রোডে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়। পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীদের হামলার মুখে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী পালিয়ে যান। এরপর সেখানে ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধরা। দেখা যায়, চারদিকে কাচের টুকরা। উপকমিশনারের কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভাঙা। উপকমিশনার কার্যালয়, অভ্যর্থনা ও অফিস কক্ষের দরজা-জানালা, এসিসহ মালামাল খুলে নিয়ে গেছে। উপকমিশনার কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর তার পাশের আরেকটি কার্যালয়ে দুই দফায় আগুন দেয়া হয়। দুই দফায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সেখানে রাতে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। পরে সকালে আরেক দফা আগুন দেয়া হলে তাও তারা নিভিয়েছেন।
মিরপুর মডেল থানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পোড়া ভবন দাঁড়িয়ে আছে।
পুলিশ সদর দফতরের প্রধান ফটকে তালা : দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ীর ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ সদর দফতরের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য নেই। মূল ফটক তালাবদ্ধ। তবে অভ্যর্থনা কক্ষে কয়েকজনকে পাওয়া যায়। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের নিরাপত্তাকর্মী তারা। সোমবার পুলিশ সদর দফতরের মূল ভবনে লুটপাট করা হয়। সেই ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement