কোটা আন্দোলনের আহত ৩ সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোয়েন্দা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে পুনরায় তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকের কিছু ব্যক্তি তাদের তুলে নিয়ে গেছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কোটা আন্দোলনের এই সমন্বয়ক জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের তুলে নেয়া হয়। এ সময় সবাই আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানা যায়, কয়েক দিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ভুক্তভোগী এই সমন্বয়করা। সেখানে গোয়েন্দা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের সাথে নিকট আত্মীয়সহ কাউকেই দেখা করতে দেয়া হয়নি। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছিল। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছিল ডিবি। টানা তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার পর শরীরে নির্যাতনের ক্ষত দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ আহত অবস্থায় তাদের গণস্বাস্থ্য হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। নাহিদের বোন ফাতেমা তাসলিম গণমাধ্যমকর্মীকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা পুলিশ নাহিদ, আসিফ আর আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে গেছে। তখন তারা সবাই অসুস্থ ছিল। তুলে নেয়ার সময় তারা থরথর করে কাঁপছিল। তাদেরকে প্যান্ট পরতেও দেয়া হয়নি। গত শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও থেকে নাহিদ ইসলামকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। পাঁচ দিন পর আহত অবস্থায় তাকে পূর্বাচল এলাকায় পাওয়া যায়। উরু ও কাঁধে প্রচণ্ড আঘাতের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে ক্ষত জায়গা তামাটে রং ধারণ করেছিল। এ সময় তাকে গণস্বাস্থ্য হসপিটালে ভর্তি করা হয়। একইভাবে গত শনিবার কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও রিফাত রশিদকে তুলে নেয়া হয়। তাদেরও চারদিন পর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারাও গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা