চট্টগ্রাম বন্দরের অচলাবস্থায় গার্মেন্ট সেক্টরে দুর্দিন
বিদেশী ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ- নূরুল মোস্তফা কাজী চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:০৪
চট্টগ্রাম বন্দরে নজিরবিহীন অচলাবস্থায় গার্মেন্ট সেক্টরে ঘোর দুর্দিন চলছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অচলাবস্থা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় এক সপ্তাহ ধরে তৈরী পোশাকের কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন এবং প্রস্তুতকৃত পোশাক রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে বিদেশী ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া কী হয় তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গার্মেন্ট মালিকরা। রফতানিতে অনিশ্চয়তার মধ্যেই কোরিয়ান ইপিজেডের ৩৮টিসহ চট্টগ্রামের অধিকাংশ তৈরী পোশাক কারখানা গতকাল মঙ্গলবার খুলেছে।
বিজিএমইএ বলছে, মালিকরা ঝুঁকি নিয়েই কারখানা চালু করেছেন। তবে শ্রমিক উপস্থিতি অর্ধেকের মতো বলে জানা গেছে। বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে আমরা চট্টগ্রামের গার্মেন্ট মালিকরা নিজ দায়িত্বে কারখানা চালু করেছি। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় বিদেশী ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে কয়দিন লকডাউন পরিস্থিতি চলছে এর মধ্যে আমরা বন্দর থেকে কোনো আমদানিকৃত কাঁচামাল খালাস করতে পারিনি এবং উৎপাদন বন্ধ ছিল। এসময়ে রফতানিও করা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিদেশী বায়ারদের প্রতিক্রিয়া আমরা জানতে পারব ইন্টারনেট সচল হলে। ইন্টারনেট ছাড়া ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
এদিকে কোরিয়ান ইপিজেডের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেন, এখানকার ৩৮টি কারখানাই চালু হয়েছে। শ্রমিকদের ৯০ শতাংশই স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ৩৮টি কারখানায় প্রায় ২৯ হাজার শ্রমিক কাজ করেন যার ৮৮ শতাংশই উপস্থিত ছিল। কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ৪০টি বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বলে তিনি জানান। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিল্প পুলিশের পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা