এক বছরে আ’লীগের আয় বেড়েছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৪৬
গত এক বছর ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ কোাটি টাকা পাশাপাশি ব্যয় বেড়েছে আড়াই কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এই তথ্য জানা গেছে। দেখা গেছে, বিগত এক বছরে দলটির আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটির ব্যয়ও বেড়েছে, আগের চেয়ে যা ২ কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি।
আ’লীগের একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল ইসির সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান। পরে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতি বছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এ বিবরণী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।
আশিকুর রহমান আরো বলেন, ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল। এ বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যার মধ্যে আছে সদস্যদের দেয়া মাসিক চাঁদা, এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) এক কোটি এক লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিনি জানান, ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) দুই কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ চার কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে মোট ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। আর ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
দলটির কোষাধ্যক্ষ বলেন, অফিস স্টাফদের বেতন, রাজনৈতিক কর্মসূচি, পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা প্রভৃতি খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা ছিল, তার সাথে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা যোগ করলে মোট তহবিল দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪৪টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা