১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
আরএফইডি টক-এ সিইসি

পরিপক্ব গণতন্ত্র ভারতে, বাংলাদেশে পরিপক্ব নয়

-

বাংলাদেশের গণতস্ত্র পরিপক্ব নয়। ভারতের গণতন্ত্র পরিপক্ব। তাদের ৮০ বছরের গণতন্ত্র। সেখানে কোনো ধরণের সামরিক শাসন কাজ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে এখনো রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। সঙ্কট নিরসনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেই মৌলিক প্রশ্নে সমঝোতায় আসতে হবে। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রাজনৈতিক সঙ্কট দেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলতে পারে। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং রাজনৈতিকদলগুলোর মধ্যে কতিপয় মৌলিক সমঝোতা প্রয়োজন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি (আরএফইডি)’ আয়োজিত ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব শফিউল আজিম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও জনসংযোগ পরিচালক মো: শরিফুল আলম।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ের সরকারব্যবস্থা নিয়ে এখনো দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল না। রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ঘাটতি রয়েছে নির্বাচনে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ঘাটতি। এটা আমাদের জন্য নয়। তবে বিরোধী পক্ষ অংশ নেবে এটা আমাদের আশা ছিল। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন সমাপ্তের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ এখনো গলেনি। সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূলে হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সঙ্কট নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এনআইডি স্থানান্তর নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনও যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়া হয় আইন করে তাহলে আমি থাকব না। পদত্যাগ করব।
বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগ করে। যারা প্রার্থী তাদের দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততার ওপর নির্ভর করে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দলের ভোটে না থাকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হয়নি। তবে এখানে আমাদের করার কিছুই ছিল না।
নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সঙ্কট নিয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই সংলাপের মধ্য দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানানোর মাধ্যমে একটি সুস্থ নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আর যারা নির্বাচিত হবেন তারা সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের কাছে গেলে সংস্কৃতিতে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আজিজ সাহেবের ভাইয়েরা, বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেম উদ্দিনের পরিবার ভুল তথ্য দিয়ে এনআইডি করেছে জেনেছি। ২০-২৫ বছর পর হঠাৎ জানা গেল। এখন দুটো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সিইসি বলেন, এনআইডি একটা প্রযুক্তিগত দিক রয়েছে। এ প্রযুক্তির ফাঁকফোকর থাকতে পারে। একটা জিনিসের ৯৯.৯৯ শতাংশ লোক সুবিধা পেয়ে থাকে, ০.০১ শতাংশ লোক যদি এর অপব্যবহার করে। অপব্যবহারকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তিটি বর্জন করা যাবে না। তিনি বলেন, স্থায়ী চাকরি করে তারা নয়, ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা হয়তো প্রলুব্ধ হয়ে, লোভের বশবর্তী হয়ে কিছু কিছু কাজ করেছে। ব্যাপকভাবে হয়েছে তা কিন্তু নয়।
তিনি বলেন, ইভিএম গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অনেক বেশি সহায়ক হবে। ইভিএমের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ানো দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ হাসিনার বিবৃতিকে ভারত সমর্থন করে না : বিক্রম মিশ্রি ডুয়েটে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণে সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল স্বাভাবিক মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন, যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে ট্রাইব্যুনালে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কংগ্রেসে সমালোচকদের সম্মুখীন ব্লিংকেন সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া, সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার ওপর জোর গাজীপুর ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

সকল